শতাব্দী এক্সপ্রেসে এসি বিকল, হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ যাত্রীদের
সমর্থিত সূত্রের খবর, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরই সি-১ কামরার যাত্রীরা অভিযোগ জানান যে, এয়ার কন্ডিশনার কাজ করছে না। টিটিই, অ্যাটেন্ডেন্টদের জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। প্রচণ্ড গরম, তার ওপর ওই কামরার বদ্ধ পরিবেশ। সব মিলিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত তিনজন যাত্রী। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলেন, এক্ষুণি অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি।
এভাবে চলতে চলতেই ট্রেনটি পৌঁছয় রামপুরহাট স্টেশনে। সেখানেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। চেন টেনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন। স্টেশনেই যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কিন্তু রেলকর্মীরা বলেন, হাওড়ায় না পৌঁছলে কিছু করা সম্ভব নয়। যাত্রীরা পাল্টা দাবি জানান, পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা করতেই হবে। নইলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তখন রেলকর্মীরাই নিদান দেন, তা হলে জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হোক। এ কথা শুনে যাত্রীরাই জানলার কাচ ভেঙে দেন পাথর মেরে।
এই অবস্থায় ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছয়। এদিকে ওই ট্রেনটিই আপ ট্রেন হয়ে ছাড়ার কথা ছিল। এবার স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীরা জানলার কাচ ভাঙা দেখে উঠতে অস্বীকার করেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সঙ্গে যোগ দেন ট্রেন থেকে সদ্য নামা ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ব্যাপক হইচই শুরু হয়। ছুটে আসে আরপিএফ, রেলের বড় কর্তারা। শেষ পর্যন্ত ওই কামরাটি বদলে অন্য বাতানুকূল কামরা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রেল। তাতে যাত্রীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়।
আশ্চর্যের ব্যাপার, পরিষেবা না দিলেও যাত্রীদের থেকে নেওয়া ভাড়ার একটি টাকাও কিন্তু ফেরত দেয়নি রেল। অথচ আইন মোতাবেক সেটা দেওয়ার কথা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত লাহিড়ী বলেন, "যন্ত্র থাকলে তো খারাপ হতেই পারে। ঠিক কী ঘটেছে, খবর নিচ্ছি।"