মনোনয়ন জমা ঘিরে এবিভিপির উপর হামলা টিএমসিপির, উত্তাল রানীগঞ্জ
কলকাতা, ৩ জানুয়ারি: বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান ও পুরুলিয়ার পর এবার রানীগঞ্জের কলেজেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রই জমা দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা। প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল টিবিডি কলেজ। এখানেও সেই একই অভিযোগ, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দিচ্ছে না টিএমসিপি (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ)। তার উপরে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ)-র ওপর হামলাও চালানো হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
বাংলায় ক্রমশই বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। আর তাতে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস তথা শাসকদল। নরেন্দ্র মোদী ঝড় যেভাবে রাজ্যে রাজ্যে ঢুকে পড়ছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই গদি হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। আর এই আতঙ্ক, ভয় থেকেই কলেজ রাজনীতিতেও শাসক দল হিংসার পথ নিচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
জানুয়ারি মাসেই রাজ্যে ৪৭২টি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই জন্য কিছু জায়গায় এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। শুক্রবার বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমের বিভিন্ন কলেজে টিএমসিপি মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয় এবিভিপি-কে। বর্ধমানে কালনা, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি, ওন্দা, ইন্দাস ইত্যাদি কলেজে হাতাহাতি হয়। ওন্দা কলেজে পুলিশের সামনেই টিএমপিসি তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বাঁকুড়ার সম্মিলনী কলেজে লাঠি নিয়ে এবিভিপি-র ওপর হামলা হয়। তারপর আজকে ফের রানীগঞ্জের কলেজে একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
এর পাশাপাশি রামরপুরহাটের কলেজেও ব্যপক বোমাবাজির খবর মিলেছে। এখানেও অভিযোগ সেই টিএমসিপির দিকেই। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। শাসকদলের লোকজনের দিকে অভিযোগ বলেই কী গাছাড়া মনোভাব পুলিশের, প্রশ্ন বিরোধীদের।
এ ছাড়াও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে বীরভূম জেলায়। খয়রাশোল, ইলামবাজারে কলেজের সংঘর্ষ নেমে আসে রাস্তায়। বোমা মারা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও টিএমসিপি এই খবর অস্বীকার করেছে। মুর্শিদাবাদে কয়েকটি কলেজেও সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে এবিভিপি-র পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই।