শুভেন্দু জিতবেন না নন্দীগ্রামে, রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষের বার্তা তাঁর একসময়ের সঙ্গীর
নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাবেন না আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ আবু তাহেরকে। গ্রেফতারির ভয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাবেন না আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ আবু তাহেরকে। গ্রেফতারির ভয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ছত্রধর মাহাতো এনআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছেন আবু তাহের। মমতার এই লড়াইয়ে তিনি যাতে পাশে থাকতে না পারেন, সেজন্যই চক্রান্ত করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে, সঙ্গে নেই আবু তাহের
আবু তাহেরের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী, অথচ তাঁর হয়ে কোনও প্রচার করতে পারছি না। এ যে কী যন্ত্রণা, তা বলে বোঝাতে পারব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নন্দীগ্রামে রয়েছেন। কিন্তু সঙ্গে নেই আবু তাহের। ভোটটাও তিনি দিতে পারবেন না। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাঁকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
অকেজো করে দিতেই মামলার ফাঁদ তৈরি শুভেন্দুর!
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন আবু তাহের, শেখ সুফিয়ান-সহ অনেকে। তার অধিকাংশ মামলা তুলে নেওয়া হলেও এখনও কিছু মামলা রয়ে গিয়েছে। তাঁকে অকেজো করে দিতেই শুভেন্দু অধিকারী মামলার ফাঁদ তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ তাহেরের। ১৫ মার্চ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সুফিয়ান ২ সপ্তাহের ছাড় পেলেও তাহেরকে গ্রেফতারি পরোয়ানা মুক্ত করা যায়নি।
ধর্মের তাস খেলতে গিয়ে ফাঁপরে শুভেন্দু
তাহের বলেন, আমি যাতে মাইক ধরে শুভেন্দুদার মুখোশ খুলে দিতে না পারি, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু আমি সাফ জানিয়ে রাখছি, শুভেন্দুদা জিতবেন না। নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারটা নিজেই শেষ করলেন তিনি। ধর্মের তাস খেলতে গিয়ে উনি ফাঁপরে পড়ে গিয়েছেন। এখন তাই তাঁদের আটকে রাখার ফন্দি করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিলেন, আবেগের অংশীদার হতে পারেননি
তাহের আরও জানান, তাঁকেও বিজেপিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব মানেননি তিনি। তিনি বিবেককে আঘাত করতে পারেননি। কারণ তিনি যে নন্দীগ্রামবাসী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তো শুভেন্দুদার রক্ত ঝরেনি। ঘরছাড়াও হতে হয়নি। তাই উনি বুঝবেন না আমাদের যন্ত্রণা। তবে উনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু আবেগের অংশীদার হতে পারেননি। তা হলে বিজেপিতে যেতেন না।