বিজেপির পুরো জেলা কমিটিই প্রায় অনুব্রতের 'গ্রাসে'! একসঙ্গে ৩০ জন পদাধিকারী গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলের পথে
বিজেপির পুরো জেলা কমিটিই প্রায় অনুব্রতের 'গ্রাসে'! একসঙ্গে ৩০ জন পদাধিকারী গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলের পথে
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গড় বীরভূমে (Birbhum) বিজেপিতে (bjp) বড় ভাঙন। একসঙ্গে ৩০ জন পদাধিকারী দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। এরমধ্যে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্যও রয়েছেন। তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিতে তাঁরা আবেদনই জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজেপির বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক অতনু ভট্টাচার্য এবং সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেখ সামাদও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
দল ছাড়ছেন যাঁরা
যাঁরা বিজেপি ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, দুবরাজপুর শহর সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল, শহরের সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ আচার্য। তালিকায় রয়েছেন জেলা কমিটির সদস্য তথা বিধানসভার পর্যবেক্ষক প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তিনি পুরনো দলের প্রতি তোপ দেগে বলেছেন, বিজেপির কোনও নীতি নেই, উন্নয়নের কোনও পরিকল্পনাও নেই। সেই কারণেই এই পদত্যাগ। তিনি আরও জানিয়েছেন, পদ ও দল দুটোই ছেড়েছেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডলের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন দলত্যাগীরা।
এখনও আশাবাদী বিজেপি বিধায়ক
যদিও এখনও আশাবাদী দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। তিনি বলেছেন, পদ ছাড়লেও কেউ এখনও দল ছাড়েননি।
বিজেপি ত্যাগীরা তৃণমূলে স্বাগত
অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপিতে কোনও সভ্য লোক থাকতে পারবেন না। যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন, তাঁদেরটকে স্বাগত জানানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন যাঁরা
এর আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, বিজেপির বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক অতনু ভট্টাচার্য এবং জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেষ সামাদ। শেখ সামাদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির ৪৮ জন সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির নতুন জেলা কমিটি ঘোষণার পরেই একাধিক নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নানুরের বিজেপি পর্যবেক্ষক বিনয় ঘোষও এই দলে রয়েছেন। চার মণ্ডল সভাপতিও ছিলেন দলবদলের তালিকায়। এর আগে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন জেলার সহ-সভাপতি উত্তর রজনক এবং জেলা সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া
এই দলবদল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন চারিদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন উজ্জ্বল হয়ে আছে। বিজেপিতে কাজ করার সুযোগ না থাকায় সব নেতাই বসে আছেন। সেই কারণেই এই দলবদল। এঁদের যোগদানে এলাকার উন্নয়ন আরও গতি পাবে বলেই মনে করছেন তিনি। আগামী দিনে বিজেপিতে আরও ভাঙন হতে চলেছে, সেব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।