চড় কাণ্ডে দুমুখো আচরণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, অভিযোগ বিজেপির
কলকাতা, ৬ জানুয়ারি : চড় কাণ্ডে দুমুখো আচরণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলল বিজেপি। অন্যদিকে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি-র তরফেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেবাশিস আচার্য, যে অভিষেকে জনসভায় প্রকাশ্যে চড় কষান, তাদের সদস্য নয়।
একদিকে যেখানে অভিষেককে চড় মারার জন্য রাজ্যপুলিশ দেবাশিসের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনছে, সেখানে অভিষেক নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেবাশিসকে ক্ষমা করে দেওয়ার নাটক করে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পেতে চাইছেন। এটা দুমুখো আচরণ নয় তো কী প্রশ্ন বিজেপির।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত জাতীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, যদি অভিষেক আক্রমণকারীরে ক্ষমাই করে দেন তাহলে কেন তাঁকে এমন নির্মমভাবে মারা হল, কেনই বা শুধু চড় মারার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা আনা হল, কেনই বা রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল করা হচ্ছে?
তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ওব্রায়েন বলেছিলেন টিএমসি-র 'টি' এবং 'সি' টলারেন্স অর্থাৎ সহনশক্তি এবং কমিউনাল হারমোনি অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। ডেরেকের সেই মন্তব্যকেই কটাক্ষ করে সিদ্ধার্থ সিং বলেন, "আমার মতে, টিএমসি-র 'টি' এবং 'সি' হল টেররিসম (সন্ত্রাসবাদ) এবং কমিউনাল পলিটিক্স (সাম্প্রদায়িক রাজনীতি)-র প্রতীক।
অন্যদিকে, দেবাশিসের মা জানিয়েছেন, কয়েকবছর আগে তাদেঁর বাড়িতে কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। শাবল, লাঠি দিয়ে আক্রমণ চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। তাঁর শাড়ি খুলে গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হয়, বাবার পেটের পাশ দিয়ে শাবল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই মানসিকভাবে অস্থির হয়ে ওঠেন দেবাশিস। হঠাৎ হঠাৎ রেগে হিংসাত্মক আচরণ করেন।
আপাতত হাসপাতালেই রয়েছেন দেবাশিস। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর।