মিশন একুশে বিজেপিকে হারাতে নয়া উদ্যোগ তৃণমূলের, পিকে’র দেখানো পথে অভিষেক
করোনা হোক বা আম্ফান- সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূল চাইছে বিজেপির মোকাবিলায় যুবশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে।
করোনা হোক বা আম্ফান- সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূল চাইছে বিজেপির মোকাবিলায় যুবশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে। আর তাই নীরবে কাজ করে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে তিনি কাজ করছেন।
তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করতে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১-এরপ প্রাক্কালে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবশক্তির আহ্বান করেছেন। সেই কারণেই তিনি তৈরি করেছেন নয়া কর্মসূচি ‘বাংলার যুবশক্তি'। বাংলার তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান করে তিনি তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে নিচ্ছেন। আর এই কর্মসূচিতে বিশাল সাড়া মিলছে।
অভিষেকের আহ্বানে এগিয়ে এসেছে বাংলার যুবসমাজ
করোনা মহামারী এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সঙ্কটে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনায় শুরু হয়েছে এই অভিযান। অভিষেকের আহ্বানে এগিয়ে এসেছে বাংলার যুবসমাজ। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তরুণ প্রজন্মকে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের সহায়তায় কাজে লাগানো হয়েছে।
পাঁচ লক্ষ যুবক-যুবতী অভিষেকের কর্মসূচিতে
অভিষেক বলেন, আমরা এক লক্ষ যুবককে এই অভিযানে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলাম এই অভিযানে। কিন্তু বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এখন এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লক্ষেরও বেশি। এই পাঁচ লক্ষ যুবক-যুবতী কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের গণসংযোগ ২০২১-এর আগে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গণসংযোগ চালানোর উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা করে। তারপর ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস পালন করতেও প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। এবার ধর্মতলায় রাজকীয় আঙ্গিকে সেই অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তার আগে যুব শক্তি প্রদর্শনের এই সাফল্যে তৃণমূলকে অক্সিজেন দিল নতুন করে।
৫ লক্ষ যুব যোদ্ধার ভূমিকা মিশন একুশে
তৃণমূল সাংসদ স্থির করে দিয়েছেন ৫ লক্ষ যুব যোদ্ধার ভূমিকা। প্রত্যেকের প্রধান ভূমিকা হবে অন্তত ১০ দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করা এবং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। প্রতিটি যুব যোদ্ধা রাজ্যজুড়ে ১০টি পরিবারের যত্ন নেবেন। তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী ১০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করার এবং তাঁদের কাজ শুরু করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
২০২১-এ আলোর লক্ষ্যে অভিষেক
তৃণমূল সংসদ সদস্য প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে এই পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন এমন এক সময়ে যখন করোনার সংকট এবং আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষ হাহাকার করছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড় ত্রাণ তহবিল এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। সেই ক্ষোভ মিটিয়ে ২০২১-এ আলো ছড়ানোই অভিষেকের উদ্দেশ্য।