একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রিব দোসর, মুকুলকে নিয়ে কি এবার ত্রিপুরা-বিজয়ের লক্ষ্যে অভিষেক
একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রিব দোসর, মুকুলকে নিয়ে কি এবার ত্রিপুরা-বিজয়ের লক্ষ্যে অভিষেক
বাংলা এবার গোটা দেশকে পথ দেখাবে। বঙ্গ জয়ের পর তৃণমূল তাই নয়া অভিযান শুরু করতে চলেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েই এই অভিযানে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। এখন তাঁর রাজনৈতিক গুরু মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির পর আরও জোরদার হতে চলেছে সেই অভিযান। এবার অভিযানের লক্ষ্য ত্রিপুরা-বিজয়।
লক্ষ্য ত্রিপুরা, বিজেপিকে যদি আর একটা ধাক্কা দেওয়া যায়
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বাইরেও শক্তিশালী হয়ে উঠতে চাইছে তৃণমূল। বাঙালি আবেগ জাগাতে তাই বাংলার পর ত্রিপুরাকে বেছে নিতে চলেছে তারা। ত্রিপুরায় ভোট রয়েছে ২০২৩-এ। তার আগে বিজেপিকে যদি আর একটা ধাক্কা দেওয়া যায়, তবে মোদীর ভিত আরও নড়বড়ে হয়ে যাবে।
ত্রিপুরার তৃণমূলের সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন মুকুল রায়
আর এই লক্ষ্যপূরণ আরও সহজ হতে চলেছে মুকুল রায়ের যোগদানে। মুকুল রায়ের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি নিজে হাতে ত্রিপুরার তৃণমূলের সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। ত্রিপুরার মুকুল-অনুগামী সুদীপ রায়বর্মনদের ফিরিয়ে এনে ফের তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করা যেতে পারে বলে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মুকুল যদি পথপ্রদর্শক হন, বাজিমাত করতে পারেন অভিষেক
মোদী-শাহের নেতৃত্বে বিজেপির পুরো টিমের মোকাবিলা করেছেন অভিষেক। তাঁকে কম নিশানা করা হয়নি বাংলার বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন। তার জবাব কড়ায়-গন্ডায় দিয়েছেন অভিষেক। এখন মুকুল রায় যদি পথপ্রদর্শক হন, তবে অনেক দেওয়াল দুমড়ে-মুচড়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারেন অভিষেক।
বঙ্গ-জয়ের পর বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় জোয়ার এসেছে তৃণমূলে
সেই অভিযানে নেমে তৃণমূল এবার ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটকেই পাখির চোখ করতে চলেছে। বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় জোয়ার এসেছে তৃণমূলে। বহু মানুষ দলে দলে তৃণমূলে য়োগ দিচ্ছেন বলে খবর। তারপর মুকুল রায় তৃণমূলে আসার পর তৃণমূলের সংগঠনেও জোয়ার আসতে চলেছে ত্রিপুরায়, এমনই খবর রাজনৈতিক মহলে।
স্বপ্ন পূরণ হয়নি, তার উপর মাথার উপরে এনআরসি-সিএএ খাঁড়া
তৃণমূল চাইছে মুকুল রায়ের সাংগঠনিক দক্ষতা বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও কাজে লাগানোর। সিপিএমকে বিদায় দিয়ে এ রাজ্যে ২০১৮-য় বিজেপি জয়লাভ করেছিল। কিন্তু যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল বিজেপি, তা পূরণ করতে পারেনি। বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ রাজ্যের মানুষ। তার উপর এনআরসি, সিএএ খাঁড়াও ঝুলছে। তাই তাঁরা ফের তৃণমূলকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে এবার।
বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও খেলা হবে স্লোগান তুলে মাত দেবে তৃণমূল!
ত্রিপুরায ফের বদলের সুর শোনা যাচ্ছে। সেই বদলের সুর শুনেই উজ্জীবিত তৃণমূল। আর যোগে যোগ পড়েছে মুকুলের ঘরওয়াপসিতে। তাঁর পুরনো যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে তাই ত্রিপুরায় ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ জোগাড় করতে নেমে পড়তে চাইছে তৃণমূল। বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও খেলা হবে স্লোগান তুলে মাত দিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
বিক্ষুব্ধরা যদি ভাঙন ডেকে আনেন, অশনি সংকেত পাবে বিজেপি
ত্রিপুরায় মাত্র ৬০টি আসন। সেখানে বিজেপি জিতেছিল ৩৭টি আসনে। মাত্র কয়েকটি আসনের হেরফের। দু-বছর বাকি রয়েছে এখনও। মুকুলকে নিয়ে অভিষেক যদি অভিযান শুরু করেন এবং সুদীপ রায়বর্মনদের মতো বিক্ষুব্ধরা যদি ভাঙন ডেকে আনেন, তাহলে বিজেপি অশনি সংকেত পেয়ে যাবে। ত্রিপুরায় মুকুলের হাত ধরেই তৃণমূল যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৬-র পর।
মুকুলের 'টোটকায়' কান না দেওয়াতেই বিজেপির ধাক্কা, দলত্যাগের পরে অনুগামীদের দাবি ঘিরে জল্পনা
তৃণমূল ফের উদ্যোগী ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারে
একুশে বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পর এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিজেদের সংগঠন তৈরি করতে উদ্যোগী হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় তৃণমূল পাশে পেয়ে গিয়েছে মুকুল রায়কে। মুকুলের আগমনে ত্রিপুরা দিয়েই তৃণমূল অভিযান শুরু করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায় বেরোতে পারেন সেই অভিযানে।
ত্রিপুরা বিজয়ই এবার পাখির চোখ হবে তৃণমূলের
তৃণমূল চাইছে ত্রিপুরা বিজেপির কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করতে। তৃণমূলের কোন্দল কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরা বিজয়ের পথে নেমেছিল বিজেপি। এবার তার পাল্টা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল। মুকুল রায়ের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে তৃণমূল চাইছে মোক্ষম সময়ে মোক্ষম চালটা দিতে। ২০২৩-এর ভোটে তৃণমূলের ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে নামতে।
জয় হাসিল করে সুদীপ রায়বর্মনকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় বিজেপি!
ত্রিপুরার বিজেপিতে এখন একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আর অন্যদিকে সুদীপ রায়বর্মন। বিজেপিতে তিনি কোণঠাসা। তাঁকে দিয়ে ত্রিপুরা জয় করে এখন সুদীপ রায়বর্মনকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। বাম আমলে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তখন তিনি কংগ্রেসে। এরপর কংগ্রেস থেকে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
কংগ্রেস-তৃণমূলের শক্তি নিয়ে বিজেপি ধরাশায়ী করে সিপিএমকে
২০১৭ সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর দেখা যায় সুদীপ রায়বর্মনরাও ভোটের মুখে বিজেপিতে ভিড় করছেন। তারপর তৃণমূলের সংগঠনকে ছত্রখান করেই বিজেপির বেড়ে ওঠা ত্রিপুরায়। কংগ্রেস আর তৃণমূলকে ভেঙে বিজেপি ত্রিপুরায় হয়ে ওঠে প্রবল শক্তিশালী। তার জেরেই ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটাতে সম্ভবপর হয় তারা।
২০২৩-এর আগে তৃণমূলের উত্থানের পরিবেশ ত্রিপুরায়
মুকুল রায় ঘরে ফিরেছেন চার বছর পর। আর এখন ত্রিপুরা বিজেপিরও কম্পমান দশা। কেননা সুদীপ রায়বর্মন দলবল নিয়ে বিজেপি ছাড়তে মুখিয়ে রয়েছেন। আর তা-ই যদি হয়, তবে ২০২৩-এর ভোটে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার ফের তৃণমূলের উত্থান ঘটতে পারে।
তৃণমূলের ভাঙা সংগঠন জোড়া লাগাতে দোসর মুকুল
তৃণমূল চেষ্টা করছে বাংলার বাইরে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে। আর ত্রিপুরায় তো আগে থেকেই তৃণমূলের সংগঠন ছিল বা রয়েছেও। মুকুল রায় বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর তাতে ধস নামে। মুকুল রায় আবার তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে সুদীপ রায়বর্মনদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে তিনি ফের তৃণমূলকে চাঙ্গা করে দিতে পারেন ত্রিপুরায়।
মুকুল-সুদীপ জোড়া ফলায় তৃণমূল ত্রিপুরায় থাবা বসাবে
সুদীপ রায়বর্মনরা যেভাবে বিজেপির উপর বিরক্ত তাতে তৃণমূল পসার বৃদ্ধি করতে পারে বাংলাদেশের ওপারের রাজ্যে। সুদীপ রায়বর্মন মুকুল রায় অনুগামী বলে পরিচিত। মুকুলের সঙ্গে সুদীপের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ত্রিপুরায় থাবা বসাবে বলাই যায়। আর গুরু মুকুল ত্রিপুরা. পা দিলে ভাবশিষ্য সুদীপ রায়বর্মনও যে ঝুঁকবেন তৃণমূলে তা বলাই যায়।
২০২৪-এর আগে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে মিশন ২০২৩ তৃণমূলের
২০২৪-এর
আগেই
বিজেপিকে
ধাক্কা
দিতে
মিশন
২০২৩
বঙ্গ
জয়ের
পর
তৃণমূল
অবস্থান
নিয়েছে
যে,
বাংলা
এবার
গোটা
দেশকে
পথ
দেখাবে।
সেই
আঙ্গিকেই
আসন্ন
২০২৪
লোকসভা
নির্বাচনের
আগে
বাংলার
বাইরেও
শক্তিশালী
হয়ে
উঠতে
চাইছে
তৃণমূল।
বাঙালি
আবেগ
জাগাতে
তাই
বাংলার
পর
ত্রিপুরাই
প্রথম
পছন্দ।
ত্রিপুরায়
ভোট
রয়েছে
২০২৩-এ।
তার
আগে
বিজেপিকে
যদি
আর
একটা
ধাক্কা
দেওয়া
যায়,
তবে
মোদীর
ভিত
আরও
নড়বড়ে
হয়ে
যাবে
বলাই
যায়।