শুভেন্দু কি নিন্দা করবেন পরেশ রাওয়ালের বাংলা-বিদ্বেষী মন্তব্যের, একহাত নিলেন অভিষেক
শুভেন্দু অধিকারী কি নিন্দা করবেন পরেশ রাওয়ালের বাংলা-বিদ্বেষী মন্তব্যের? এ ব্যাপারে কী অবস্থান নেবেন শুভেন্দু অধিকারী? শনিবার কাঁথিতে তৃণমূলের সমাবেশে শুভেন্দুকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, এখনও কেন চুপ শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী কি নিন্দা করবেন পরেশ রাওয়ালের বাংলা-বিদ্বেষী মন্তব্যের? এ ব্যাপারে কী অবস্থান নেবেন শুভেন্দু অধিকারী? শনিবার কাঁথিতে তৃণমূলের সমাবেশে শুভেন্দুকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, এখনও কেন চুপ শুভেন্দু অধিকারী। পরেশ রাওয়াল বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করলেন, তবু চুপ কেন তিনি?
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিন্দা করে জানিয়েছেন, এখনও তিনি পরেশ রাওয়ালের বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে মুখ খোলেননি। আসলে মুখ খুলবেন কী করে, মুখ খুললেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি কিংবা সিবিআই তাঁকে নোটিশ পাঠাবে।
অভিষেক এ ব্যাপারে বলেন, শুভেন্দু অধিকারী যে কারণে বিজেপিতে গিয়েছেন, সেই সিবিআই-ইডির ভয়ে পরেশ রাওয়ালের বাংলা ও বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্য নিয়েও তিনি মুখ খুলতে পারবেন না। তাঁর টিকি বেঁধে রেখে দিয়েছে বিজেপি। যে মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী ব্যাগরবাই করবেন, সে মুহূর্তেই তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোপের পড়ে যাবেন।
অভিষেক বলেন, বিরোধী দলনেতা দিল্লিতে তাঁর প্রভুদের পা চেটে ইডি-সিবিআই এড়িয়েছেন। তাই পরেশ রাওয়ালের বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্য নিয়ে শুধু শুধু নিজের অবস্থান ব্যক্ত তিনি ইডি-সিবিআইয়ের নজরে পড়বেন না। অভিষেক বলেন, আসলে তাঁর প্রতিবাদ করার মতো মেরুদণ্ড সোজা নয়। তিনি তাই প্রতিবাদ করতে পিছপা হচ্ছেন। এখনও নীরব থাকতে পছন্দ করছেন।
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি 'বাঙালি-বিদ্বেষী' মন্তব্য করেছেন গুজরাতের এক সমাবেশে। তারপর থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে। গুজরাতের ভালসাদ জেলায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে পরেস রাওয়াল বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেশি, কিন্তু দাম কমবে। মানুষও কর্মস্ংস্থান পাবে। কিন্তু রোহিঙ্গা অভিবাসী ও বাংলাদেশীরা যদি দিল্লির মতো আপনাদের আশেপাশে বসবাস শুরু করে তাহলে কী হবে? গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী করবেন, বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন।
তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতেই বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল টুইটারে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। সেইসঙ্গে এটাও স্পষ্ট করেন যে, বাঙালি বলতে তিনি অবৈধ ও বাংলাদেশিদের বোঝাতে চেয়েছেন। এরপর পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১৫৩এ, ১৫৩বি, ৫০৪ ও ৫০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। আর কলকাতার তালতলা থানায় গিয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন খোদ সিপিএণ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তালতলা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তিনি বলেন, এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কী পদক্ষেপ নেন, তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। অপেক্ষা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান জানার। তবে তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট কের দেওয়া হয়েছে অবস্থান। পরেশ রাওয়াল ও বিজেপির বাংলা ও বাঙালি-বিদ্বষী মন্তব্য নিয়ে নিন্দা করা হয়ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন।