প্রশান্ত কিশোরকে কেন দরকার হয়েছিল তৃণমূলের! ভোট ফুরোতেই কারণ জানালেন অভিষেক
প্রশান্ত কিশোরকে কেন দরকার হয়েছিল তৃণমূলের! ভোট ফুরোতেই কারণ জানালেন অভিষেক
মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে যে সরকার স্থাপন হয়েছিল, তাও মা-মাটি-মানুষের সরকার বলে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ১০ বথর যেতে না যেতেই কী এমন হল সেই মা-মাটি-মানুষের দলকে ভোট কৌশলী বরাত করে আনতে হল? একুশের ভোট-যুদ্ধ শেষের লগ্নে এসে অভিষেক স্পষ্ট করলেন কেন প্রশান্ত কিশোরকে আনা হয়েছিল।
মমতার ভোট স্ট্র্যাটেজিস্টের নিশানায় ফের মোদী সরকার, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পিকের শক্তিশেল-টুইট
তৃণমূলের হয়ে বাংলায় ভোট কৌশল নিরূপণ পিকের
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে পরিকল্পনা রূপায়ণে এনেছিল তৃণমূল। তবে কি ২০১৯-এর লোকসভায় আশানুরূপ ফল করতে না পারাই তৃণমূলকে অন্য কিছু ভাবতে বাধ্য করেছিল? প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের হয়ে বাংলায় ভোট কৌশল নিরূপণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
প্রযুক্তির লড়াইয়ে বলীয়ান হয়ে উঠতেই পিকের শরণাপন্ন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে কেন ভোট কৌশলী নিয়োগ করতে হল, তা এতদিন পর স্পষ্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক সাফ জানিয়েছেন, এখন নতুন প্রযুক্তির দিন। তাই আমাদের মেশিনারিরে সঙ্গে যদি একটি বাড়তি সংযোজন হয়, ক্ষতি কী! প্রযুক্তির লড়াইয়ে আরও বলীয়ান হয়ে উঠতেই তৃণমূলের ভোট কৌশলীর দায়িত্বে আনা হল প্রশান্ত কিশোরকে।
প্রযুক্তি-নির্ভর প্রচারের জন্য প্রশান্ত কিশোরকে বরাত তৃণমূলের
রাজনৈতিক মহল, এমন ব্যাখ্যা আগেও দিয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোট স্থির করে দিয়েছিল একুশের যুদ্ধ তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে হতে চলেছে। আর বিজেপি প্রযুক্তিগতভাবে অসম্ভব শক্তিশালী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে পাল্লা দিতে তৃণমূল প্রযুক্তি-নির্ভর প্রচারের জন্য প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোট কৌশলীকে বরাত করেছিল।
আধুনিক পদ্ধতিতে দলের হয়ে প্রচার পরিকল্পনা নিরূপণ পিকের
অভিষেক স্পষ্টতই জানান, প্রশান্ত কিশোরকে আনা হয়েছিল দলের সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে। তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে দলের হয়ে প্রচার পরিকল্পনা নিরূপণ করেছেন। তার কিছু সুফল তৃণমূল পাচ্ছে বলেই অভিমত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেক আগেও এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে দেন প্রশান্ত কিশোর দলে কোনও নির্দেশ দেননি, প্রস্তাব দিয়েছেন মাত্র।
প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার দৌলতে বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলে আসার পর দল প্রযুক্তিগত প্রচারে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে তৃণমূল তাঁদের প্রচারকে একটা মাত্রা দিতে সক্ষম হয়েছে। যেটা একমাত্র দল হিসেবে বিজেপি পারত, তার সমকক্ষ হয়ে উঠেছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার দৌলতে বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিতেও সমর্থ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
তৃণমূল প্রযুক্তি প্রচার পরিকল্পনা তৈরি করতেই পিকের দ্বারস্থ
এ প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, প্রশান্ত কিশোর দলের কেউ নন। তিনি এবং তাঁর সংস্থাকে দিয়ে তৃণমূল কিছু প্রচার পরিকল্পনা তৈরি করেছে। মানুষের মন বুঝতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছে। এটা সব দলই করেছে। বিজেপি প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে কাজ করেছে। অন্য অনেক দল কাজ করেছে, তখন দোষ হয়নি, আর আমরা প্রশান্ত কিশোরকে কাজে লাগাতেই দোষ হয়ে গেল!