৪০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার চিহ্নিত! পিকের পরামর্শ মেনেই এগোচ্ছে মমতার দল
লোকসভায় ধাক্কা খেয়ে কোথায় গলদ, তা খুঁজতে লেগেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেইমতোই গলদ খোঁজা হয়েছে, সেই ক্ষতে মলমও দেওয়ার কাজ শুরু করেছে দিয়েছে তৃণমূল। কলকাতা পুরসভা ভোটের আগে সেইমতোই কড়া অবস্থান গ্রহণ করল তৃণমূল কংগ্রেস।

পারফরম্যান্সই পুরভোটের টিকিট পাওয়ার চাবিকাঠি
নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মমতা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পারফরম্যান্সই পুরভোটের টিকিট পাওয়ার চাবিকাঠি। পরদিন তৃণমূলপ ভবনে বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরতে পাশে নিয়ে জানিয়ে দিলেন, আমরা যে সমীক্ষা করেছি, তাতে ৪০ জন কাউন্সিলরের কাজ সন্তোষজনক নয়।

অসন্তোষের প্রভাব পড়তে পারে প্রার্থী বাছাইয়ে
তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই অসন্তোষের প্রভাব পড়তে পারে প্রার্থী বাছাইয়ে। প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নিয়েই সমীক্ষা শুরু করেছিলেন তাঁর আই প্যাক টিমকে দিয়ে। সেই সমীক্ষায় কলকাতার ৩০ শতাংশ কাউন্সিলরকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। ফলে দল তা ভালো চোখে দেখছে না। তৃণমূল মানুষের চাহিদাকে সর্বাধক গুরুত্ব দেবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে।

এখনও সময় আছে, মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এমনও বলা হয়েছে, এখনও সময় আছে, মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। দেখুন মানুষ আপনাদের আবার গ্রহণ করে কি না। মানুষ যদি আপনাদের গ্রহণ করে, তৃণমূলের গ্রহণ করতে কোনও আপত্তি থাকবে না। আপনারা ফের টিকিট পাবেন, মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন।

কেউ গায়ের জোরে জেতার চেষ্টা করবেন না
অভিষেক সাফ বলেন, কেউ গায়ের জোরে জেতার চেষ্টা করবেন না। তা মেনে নেবে না দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা পছন্দ করেন না। কোনও প্রার্থী ভোট লুঠ করার চেষ্টা করলে দল তা ভালো ভাবে নেবে না। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যদি জিততে চান, মানুষের জন্য কাজ করার অধিকার পেতে চান, এখন থেকে মানুষের কাছে যান।

অসন্তোষ থাকলে অন্য দলে চলে যেতে পারেন
তিনি আরও জানান, যাঁদের পুরভোটের প্রার্থীপদে টিকিট নিয়ে কোনও অসন্তোষ থাকবে, তারা অন্য দলে চলে যেতে পারেন। তৃণমূলে থেকে অন্যরকম কিছু করার চেষ্টা করবেন না। দল সব কিছুই নজরে রাখছে, দলের নজরেও থাকবে সবকিছু। তিনি পরামর্শ দেন পারফরম্যা্ন্স করুন দল ডেকে ডেকে টিকিট দেবে।

প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত
অভিযেক বলেন, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে কাউন্সিলরদের কাজ ও ভাবমূর্তি বিশ্লেষণ করেই টিকিট দেওয়া হবে। সংরক্ষিত আসনে কোনও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে না পারলে, তাঁর পরিবারের কেউ হবে, এমন আশা করবেন না। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি প্রমুখ।
দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের, বিট কয়েনে লেনদেনে অনুমতি