দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে অভিষেকের গাড়ি দুর্ঘটনা, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনা-কাণ্ডে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হল। হুগলি জেলা পুলিশ এই মর্মে মামলা রুজু করেছে।
কলকাতা ও হুগলি, ১৯ অক্টোবর : তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনা-কাণ্ডে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হল। হুগলি জেলা পুলিশ এই মর্মে মামলা রুজু করেছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে এই মামলায়। সিআইডি প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে নিছক দুর্ঘটনা নয়। সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে দুর্ঘটনা নিয়ে। এই দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে চূড়ান্ত গাফিলতি।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালিয়েছে সিট। পাইলট কারের চালক, এমনকী অভিষেকের গাড়ির চালকের সঙ্গেও কথা বলেবেন সিআইডি অফিসাররা। মিল্ক ভ্যান ও ব্রেক ডাউন ভ্যানের চালক ও মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। দু'জনকে আটক করা হয়েছে। সেইসময় ঘটনাস্থলে থাকা ওই দুই গাড়ির চালক ও খালাসির খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এদিনই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তদন্তকারীরা দাদপুর থানায় গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ তিনটি গাড়িতে তল্লাশি চালান। সেখানে দেখা যায় অভিষেকের গাড়ির স্পিডোমিটারে কাঁটা আটকে আছে ৮০ কিলোমিটারে। এদিনই এই দুর্ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অভিষেকের গাড়ির চালক বহরমপুরে একটি চা দোকানে চা খেয়েছিলেন। সেই দোকান মালিককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। উল্লেখ্য গতকালই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, গাড়ির ড্রাইভার স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না, তাঁকে কিছু খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কথার উপরই ভিত্তি করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কেননা অভিষেকের গাড়ির সামনে ছিল পাইলট কার।
সেই গাড়িটি বাঁদিকে দাঁড়িয়ে থাকা মিল্ক ভ্যান ও ব্রেক ডাউন ভ্যান এড়িয়ে গেল। অথচ অভিষেকের গাড়ি কীভাবে ধাক্কা মারল মিল্ক ভ্যানটিতে। সাধারণত পাইলট কারের পিছনে একই লাইন দিয়ে চলে কনভয়ের গাড়ি। এক্ষেত্রে অতটা বাঁদিকে সরে গিয়ে কী করে ধাক্কা মারল অভিষেকের গাড়িটি? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।