প্রশান্তের সমীক্ষায় পুরভোটেও পাশ অভিষেক! বিপুল জয়ের পরেই বিজেপিকে 'বিশেষ বার্তা' যুবরাজের
বিপুল জয়। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখলেন মানুষ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৫টিরও বেশি আসনে ব্যাপক জয় তৃণমূল প্রার্থীদের। একাধিক প্রার্থী এই পুর-নির্বাচনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁদের
বিপুল জয়। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখলেন মানুষ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৫টিরও বেশি আসনে ব্যাপক জয় তৃণমূল প্রার্থীদের। একাধিক প্রার্থী এই পুর-নির্বাচনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই জয় মা মাটি মানুষের।
শুধু তাই নয়, বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিতে ভুলছেন না জয়ী কাউন্সিলাররা। পাশাপাশি অভিষেকের নামেও জয়ধ্বনি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
মমতার ভরসা অভিষেক
গত বিধানসভা নির্বাচন বড় পরীক্ষা ছিল অভিষেকের কাছে। দল তাঁর উপর ভরসা করেছিল। আর সেই ভরসা রেখেই বাংলায় প্রবল বিজেপি হাওয়া রুখে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের এই সাংসদ। যেভাবে রণকৌশল সাজিয়েছিলেন অভিষেক তাতেও কার্যত বাংলায় বিজেপি বধ হয়। অভাবনীয় স্ট্র্যাটেজি পাশ করার পর দলের গুরু দায়িত্ব এখন অভিষেকের কাঁধেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন তিনি।
এবারেও পাশ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড!
আর সেই ভরসা থেকে কলকাতা পুরভোটেও অভিষেকের উপর গুরু দায়িত্ব ছিল। কোন ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থী, কীভাবে প্রচার সমস্ত কিছুই সাজিয়েছিলেন তিনি। এমনকি বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে কোনও ভাবে কাঁটা না হতে পারে সেটাও নিজে হাতে সামলেছেন অভিষেক। এমনকি তাঁর প্রচারের রণকৌশলও সুন্দর ভাবে সাজানো ছিল। আর সেই সাজানো পথেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের জয়জয়কার। তৃণমূল এক নেতার মতে, অভিষেকের এই সাফল্য দলকে অন্যমাত্রা এনে দেবে।
জয়ের পরেই বিরোধীদের বার্তা
পুরসভা ভোটের প্রচার লগ্ন থেকে একেবারে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন অভিষেক। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর টার্গেট বিজেপিই। আর সেই অনুযায়ী ওয়ার্ড ভিত্তিক তৈরি হয় ছক। আর সেই ছকে কলকাতায় কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ বিজেপিরা। আর এরপরেই কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখলেন, কলকাতাবাসী আরও একবার প্রমাণ করল বাংলার রাজনীতিতে ঘৃণা আর হিংসার কোনও জায়গা নেই। বিপুল রায় দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন মানুষ।
পিছন থেকে সাহায্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর!
সদ্য শেষ হয়েছে বিধানসভা ভোট। এরপর কয়েকটি উপনির্বাচনও হয়েছে। কিন্তু সমস্ত মার্জিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে পুরনির্বাচনের ফলাফল। উঠে আসছে তথ্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পিছনে কাজ করেছে অভিষেক এন্ড কোং। গত কয়েকমাস ধরেই কলকাতা পুরসভায় সার্ভে করে প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক। কাউন্সিলারদের মার্কশিট তৈরি করা হয় কাজের নিরিখে। শুধু তাই নয়, কারা মানুষের সঙ্গে থাকেন, জনসমর্থন কেমন সমস্ত বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেই অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করে আইপ্যাক। আর সেই সমীক্ষার উপর নির্ভর করেই চূড়ান্ত হয় প্রার্থী তালিকা। ফলে এই জয়ের অনেকটাই ভাগীদার প্রশান্ত কিশোরও, মানছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।