মুকুল ফিরতেই অভিষেকের পাখির চোখ ত্রিপুরা, বাঙালি আবেগ উসকে ২৪-এর ‘খেলা’ শুরু
মুকুল ফিরতেই অভিষেকের পাখির চোখ ত্রিপুরা, বাঙালি আবেগ উসকে ২৪-এর ‘খেলা’ শুরু
বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পর এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিজেদের সংগঠন তৈরি করতে উদ্যোগী হচ্ছে তৃণমূল। এই অবস্থায় তৃণমূল পাশে পেয়ে গিয়েছে মুকুল রায়কে। তাই ত্রিপুরা দিয়েই তৃণমূল অভিযান শুরু করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায় বেরোতে পারেন এই অভিযানে।
ত্রিপুরাই পাখির চোখ তৃণমূলের
ত্রিপুরা বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই কোন্দল চলছে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আর অন্যদিকে সুদীপ রায় বর্মন। সুদীপ রায় বর্মন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা। তিনি তখন কংগ্রেসে ছিলেন। কংগ্রেস থেকে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর দেখা যায় সুদীপ রায় বর্মনরাও ভোটের মুখে বিজেপিতে ভিড় করছেন।
তৃণমূলের উত্থানের পরিবেশ ত্রিপুরায়
চার বছর পর মুকুল রায় ঘরে ফিরতেই ত্রিপুরা বিজেপিতেও কম্পন ধরে গিয়েছে। কেননা সুদীপ রায় বর্মন দলবল নিয়ে যদি বিজেপি ছাড়েন তবে ২০২৩-এর ভোটে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। কংগ্রেস ত্রিপুরায় আরও ধসে গিয়েছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসে ফেরার সাহস করেননি সুদীপ রায় বর্মন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার ফের তৃণমূলের উত্থানের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।
তৃণমূলের ভাঙা সংগঠন জোড়া লাগালেই...
প্রথমত তৃণমূল চেষ্টা করছে বাংলার বাইরে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে। আর ত্রিপুরায় আগে তৃণমূলের সংগঠন ছিল। মুকুল রায় বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর তা ধসে যায়। আবার তিনি তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে সুদীপ রায় বর্মনদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে ফের তৃণমূল উঠে আসতে পারে। সুদীপ রায়বর্মনরা যেভাবে বিজেপির উপর বিরক্ত তাতে তৃণমূল পসার বৃদ্ধি করতে পারে।
তৃণমূলের সংগঠন বাড়ছিল মনিপুরেও
অভিষেকের সঙ্গে শনিবারের দীর্ঘ বৈঠকে মুকুল রায়ের এ ব্যাপারেও কথা হতে পারে। মুকুল রায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মনিপুরেও তৃণমূলের সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তৃণমূলের সংগঠন বাড়ছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। তার মধ্যে মনিপুরে আবার তৃণমূলের বিধায়কও ছিলেন।
ত্রিপুরার পাশাপাশি মনিপুরেও লক্ষ্য
সুদীপ রায়বর্মন মুকুল রায় অনুগামী বলেও পরিচিত। মুকুলের সঙ্গে সুদীপের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ত্রিপুরায়. থাবা বসাবে বলাই যায়। সেইসঙ্গে মনিপুরকে নিয়েও আলাদা করে ভাবতে শুরু করেছে তৃণমূল। সংগঠনকে ফের জাগিয়ে তুলে তৃণমূল বাড়তে চাইছে মনিপুরেও। উল্লেখ্য, মনিপুর ও ত্রিপুরায় পরে সংগঠন গড়ে সাফল্য পায় বিজেপি।
২০২৪-এর আগেই বিজেপিকে ফের ধাক্কা!
বঙ্গ জয়ের পর তৃণমূল অবস্থান নিয়েছে যে বাংলা এবার গোটা দেশকে পথ দেখাবে। সেই আঙ্গিকেই আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বাইরেও শক্তিশালী হয়ে উঠতে চাইছে তৃণমূল। বাঙালি আবেগ জাগাতে তাই বাংলার পর ত্রিপুরাই প্রথম পছন্দ। ত্রিপুরায় ভোট রয়েছে ২০২৩-এ। তার আগে বিজেপিকে যদি আর একটা ধাক্কা দেওয়া যায়, তবে মোদীর ভিত আরও নড়বড়ে হয়ে যাবে।