কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো ঠিকই বলেছেন, সমস্যার কি আছে! বিতর্কে কেন এমন মন্তব্য অভিষেকের?
প্রকাশ্যে অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনকি তাঁকে নেতা হিসাবে মানি না বলেও সরাসরি আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদের বিস্ফোরক মন্তব্যে রীতিমত কেঁপে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। তাঁর এহেন মন্তব
প্রকাশ্যে অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনকি তাঁকে নেতা হিসাবে মানি না বলেও সরাসরি আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদের বিস্ফোরক মন্তব্যে রীতিমত কেঁপে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলেও চরম অস্বস্তি তৈরি হয়।
শুধু তাই নয়, কল্যাণের পথে হেঁটেই প্রশ্ন তোলেন মদন মিত্র। এভাবে দলের মধ্যে বিদ্রোহে কার্যত গেল গেল রব উঠে যায় দলের মধ্যে। আর এই অবস্থায় দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই মুহূর্তে গোয়াতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। আর সেখানেই এই বিষয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে প্রশ্ন করা হলে আদৌতে কল্যাণকেই সমর্থন করেন তিনি।
বলেন, আমিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করি। উনি কি বলেছেন...বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে মানেন না। আর আমিও বলছি মমতাই আমার নেত্রী, বাকিদের মানি না। এতে সমস্যার কি আছে...! কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো ঠিকই বলেছেন। দাবি অভিষেকের।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেও কার্যত খুবই কৌশলে এদিন তাঁর জবাব দেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতেই কংগ্রেসকে তোপ তাঁর। এদিন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলছেন মানে দলে গণতন্ত্র রয়েছে। এটাই তো প্রমাণিত হয়। কংগ্রেসের মতো হাই-কমান্ড রাজনীতি দলে নেই বলেও মন্তব্য অভিষেকের। তবে এই বিষয়ে যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মুলত ডায়মন্ডহারবার মন্ডেলকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। শুধু তাই নয়, করোনা পরিস্থিতিতে দুমাস সমস্ত কিছু বন্ধ রাখারও কথা বলেন তিনি। এমনকি চার পুরসভার ভোটও বন্ধ রাখার কথা বলেব অভিষেক। আর এই বক্তব্যে ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক।
শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, অভিষেকের এহেন মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিরোধী। দলে শীর্ষ পদে থেকে তা বলা যায় না। এমনকি তাঁর নেতৃত্ব মানেন না বলেও সুর চড়ান কল্যাণ। শুধু তাই নয়, সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেককে। সাংসদ বলেন, আগে গোয়া জিতেই দেখাক এরপর ওকে নেতা হিসাবে মানব।
Recommended Video
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের জন্যে কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখা যায়। আর সেই বিক্ষোভের একেবারে প্রথমদিকে ছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। আর এই ঘটনায় কল্যাণ বলেন, দিদি সব দেখছেন। যদিও এর আগে এমন বক্তব্য বলার জন্যে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ধমক খেতে হয় পেশায় এই আইনজীবী সাংসদকে.