তৃণমূল কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার সওয়াল, সোনিয়াকে চিঠিতে মান্নান জানালেন কারণ
বাম-কংগ্রেস জোটের সওয়াল প্রথম তিনিই করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে। এখন সেই অবাদুল মান্নানই তৃণমূলকে সমর্থনের সওয়াল করলেন আসন্ন উপনির্বাচনে।
বাম-কংগ্রেস জোটের সওয়াল প্রথম তিনিই করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে। এখন সেই অবাদুল মান্নানই তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের সওয়াল করলেন আসন্ন উপনির্বাচনে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান চিঠি লিখে সোনিয়া গান্ধীর কাছে তৃণমূলকে সমর্থনের প্রস্তাব দেন।
তৃণমূলকে সমর্থনে চিঠি
আবদুল মান্নান লেখেন, খড়গপুর বিধানসভা আসনে তৃণমূলকে সমর্থন করা উচিত কংগ্রেসের। তা না হলে বিজেপিকে অযথা সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে। খড়গপুরে বর্তমানে কংগ্রেসের সংগঠনের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই অবস্থায় কংগ্রেসের প্রার্থী দে্ওয়া মানে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া।
বিজেপিকে ঠেকানোই উদ্দেশ্য
আবদুল মান্নান লিখেছেন, আমার উদ্দেশ্য উপনির্বাচনে একের বিরুদ্ধে এক লড়াই সুনিশ্চিত করা। বিজেপিকে ঠেকানোই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই মুহূর্তে বিজেপিই পয়লা নম্বর শত্রু। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করাই জরুরি। তাই যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়ুক।
আসনটি তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত
তিনি বলেন, বামেরা কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেসকে সমর্থন দেবে বলেছে। কারণ ওখানে কংগ্রেস শক্তিশালী। আবার কংগ্রেস করিমপুরে সমর্থন করবে বামেদের। কারণ ওখানে বামেদের সংগঠন কংগ্রেসের তুলনায় মজবুত। আর খড়গপুরে বাম ও কংগ্রেস উভয়েরই শক্তি এখন তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। তাই এই আসনটি তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত হবে।
বৃহত্তর রাজনীতির স্বার্থে
তিনি আরও বলেন, তিনটি আসনেই যদি বিজেপিকে ঠেকিয়ে দেওয়া যায়, তবে বৃহত্তর রাজনীতির স্বার্থে একটা বার্তা দেওয়া যাবে, একইভাবে ২০২১-এর ভোটের আগে বাংলায় বড়সড় ধাক্কা খাবে বিজেপি। আর তাঁর এই প্রস্তাব শুনে কেউ যদি বলে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করেছি, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ কংগ্রেসের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা নিয়ে কোনও কথা হয়নি, হবেও না।
বল এখন সোনিয়া গান্ধীর কোর্টে
এখন সর্বভারতীয় রাজনীতির কথা মাথায় রেখে তিনি এই সমাঝোতার প্রস্তাবে সায় দেবেন, নাকি প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি মেনে বামেদের সঙ্গে জোটকেই সায় দেবেন, সেটাই দেখার। এই অবস্থায় বল এখন সোনিয়া গান্ধীর কোর্টে।