'ধর্মনিরপেক্ষ' শুভেন্দুকে আশীর্বাদ, নৈতিকতার প্রশংসা! বাংলায় স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটবে, আশাবাদী মান্নান
মন্ত্রিপদে ইস্তফা দেওয়ার পরে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর গন্তব্য যে বিজেপি, তাও স্পষ্ট। তিনি বিজেপিতে (bjp) যোগ দিলে গেরুয়া শিবিরের শক্তিও এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনাতেও, শুভেন্দু অধিকারীকে (subhendu adhikari) আশীর্বাদ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান (abdul mannan)।
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়! কনিষ্ক পণ্ডার পরে পূর্ব মেদিনীপুরে পদ থেকে অপসারিত আরও ২ 'দাদা' ঘনিষ্ঠ

শুভেন্দুকে শুভেচ্ছা
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ওঁর লড়াই সফল হোক। শুভেন্দু অধিকারীর ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল বলে জানিয়েছেন মান্নান। বাংলার স্বৈরাচারী শাসন খতব করতে যে শপথ শুভেন্দু নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন আব্দুল মান্নান। তিনি আরও বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে তিনি গত কয়েক দশক ধরে চেনেন। ওই পরিবার বরাবর ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতি করেছে এবং বহুত্ববাদের পক্ষে কাজ করেছে। তাই শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই যান না কেন সেই পরম্পরা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করেন তিনি।

নৈতিকতার পথে রয়েছেন শুভেন্দু
নতুন দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে। তাঁর ইস্তফা প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, নৈতিকতার পথে থেকে যা যা করার দরকার তাই তিনি করছেন। বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল ছাড়ছেন তিনি। আব্দুল মান্নান স্মরণ করিয়ে দেন, কংগ্রেস থেকে অনেক বিধায়ক তৃণমূলে গেলেও, তাঁরা এখনও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি। খাতায়, কলবে তৃণমূলের বিধায়ক থাকলেও, তাঁরা নির্লজ্জভাবে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ
শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আগুন নিয়ে খেলা করতে গিয়ে বিরোধী দলগুলিকে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন, সেই আগুনে তিনি এবার নিজেই পুড়বেন। তিনি আরও বলেন, একটা সময় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি কংগ্রেসকে শেষ করেছিলেন, সেই রাস্তায় শুভেন্দু বাংলায় স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাবেন, আশাবাদী বিরোধী দলনেতা।

শুভেন্দু অধিকারী ও হিন্দু রাজনীতি
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বর্তমানে বাংলার যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে বাম-কংগ্রেসের পক্ষে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার গেরুয়া শিবির রাজ্যে অনেকটাই শক্তিশালী হবে। আব্দুল মান্নান বরাবরে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করে এসেছেন। তাই ধর্মনিরপেক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর গায়ে যাতে হিন্দুত্বের আঁচ না পড়ে সেই কথাও মনে করালেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নন্দীগ্রামই হোক কিংবা মুর্শিদাবাদ কিংবা উত্তর দিনাজপুর শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব থাকা এইসব এলাকায় বহু সংখ্যালঘুর বাস। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেও এই সব সংখ্যালঘুরা তাঁর দিক থেকে সরে যাবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। সেক্ষেত্রে আব্দুল মান্নানের বার্তা বড় হয়ে দেখা দেবে।