নবান্ন অভিযানে পুলিশ বিষ গ্যাস প্রয়োগ করেছে! অভিযোগ তুলে সরব মান্নান
কয়েক মাস আগেই বিধানসভায় হইহট্টগোল এবং ধস্তাধস্তিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আব্দুল মান্নান। সেই ঘটনার দিন কয়েক পরে তাঁকে পেসমেকারও বসাতে হয়েছিল।
নবান্ন অভিযানে পুলিশি দমন-পীড়নে গুরুতর অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানে কাঁদানে গ্যাস বলে যা পুলিশ ছুঁড়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।বর্ষীয়ান এই নেতার দাবি, কাঁদানে গ্যাস বলে যা জানতেন তাতে চোখ জ্বালা করত।
কিন্তু, ২২মে নবান্ন অভিযানে কাঁদানে গ্যাস বলে পুলিশ যা ছুঁড়েছে তাতে শ্বাস বন্ধ হয়ে এসেছিল। এর ফলে এতটাই অসুস্থতাবোধ করছিলেন যে পরে চিকিৎসকের কাছেও নাকি গিয়েছিলেন মান্নান।তাঁর দাবি, চিকিৎসক নাকি জানান, আর কিছুক্ষণ ওই গ্যাস শরীরের ভিতরে গেলে তাঁর মৃত্যুও হতে পারত।
মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে বাম এবং কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। সেখানেই প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানে হওয়া পুলিশি তাণ্ডব এবং সরকারপক্ষের ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি জমা দিয়ে ফিরে আসার পথে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়াও দেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। দু'জনেই জানান, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী পুরো ঘটনাই শুনেছেন।
যেভাবে নবান্ন অভিযানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে তা তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলে প্রত্যক্ষ করেছেন বলেও নাকি বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন।সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপরে লাঠিচার্জ-এর ঘটনা নাকি রাজ্যপালকে অবাক করেছে বলেও জানান সুজন চক্রবর্তী ও আব্দুল মান্নান। রাজ্যপাল তাঁর ক্ষমতাবলে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নাকি আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ যে কাঁদানের গ্যাসের নামে প্রাণঘাতী গ্যাস প্রয়োগ করেছে তাও রাজ্যপালকে জানিয়েছেন মান্নান। সংবাদমাধ্যমের সামনে মান্নান এও অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রকে লুঠ করতে পুলিশকে দিয়ে এই বিষাক্ত গ্যাসের পাউডার এখন প্রয়োগ করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, হিটলারের গ্যাস চেম্বারের কথা জানা ছিল কিন্তু তা যে এখন এই রাজ্যের সরকারও প্রয়োগ করছে তা জানা গেল নবান্ন অভিযানে।