আউশগ্রাম-সহ বর্ধমানের তিন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অপসারিত অনুব্রত মণ্ডল
আউশগ্রামের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বর্ধমান, ১ ফেব্রুয়ারি : আউশগ্রামের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আউশগ্রামের থানা আক্রমণের ঘটনায় দলীয় স্তরেও কড়া হলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই অনুব্রত মণ্ডলকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি।[বাজেট ২০১৭ : তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর দিতে হবে না]
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির এই ডানা ছাঁটার পিছনে আউশগ্রাম কাণ্ডের প্রভাব রয়েছে। সেইসঙ্গে বর্ধমানের আরও দুই এলাকা কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। অভিযোগ, বর্ধমানের এই তিন কেন্দ্রেই নিত্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে। প্রায়ই ঘটছে একটা না একটা ঘটনা। এরই মধ্যে তিনবার আইসি বদল করা হয়েছে কেতুগ্রামে। তবু রাশ টানা যায়নি গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামেও।
উল্লেখ্য গত এক বছরে ওই তিন কেন্দ্রে ১৮টি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আউশগ্রামে শেষবার অর্থাৎ গত সপ্তাহে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পর কড়া পদক্ষেপ নিতেই হত তৃণমূলকে। আউশগ্রামের স্কুলে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে যা ঘটেছে, সেখানে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর চঞ্চল গড়াই।
এ প্রসঙ্গেও বিতর্কিত মন্তব্য করে নজরে পড়েন অনুব্রত। 'চঞ্চল দলের কেউ নন, লক আপে পাঠিয়ে তাঁকে শাস্তি দিয়েছি' বলে মন্তব্য করেন অনুব্রত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাঁর উপর অসন্তুষ্ট ছিলই দল। তার উপর চঞ্চল নিয়ে বেসামাল মন্তব্য তাতে অনুঘটকের কাজ করে। মূলত আউশগ্রাম কাণ্ডের ফলেই তাঁকে পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরতে হল।