মমতার উচ্ছ্বাসে ছাই: জোটের প্রশ্ন নেই, ভোটে মূল প্রতিপক্ষ হবে তৃণমূলই, জানিয়ে দিল রাজ্য আপ নেতৃত্ব
কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি : দিল্লি নির্বাচনের ফল যখন ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে তখনই ধড়াধড় একের পর এক অভিনন্দন বার্তা টুইট করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। কিন্তু সেই বাড়তি উচ্ছ্বাসে দিনের শেষে জল ঢেলে দিল আম আদমি পার্টিই। অভিনন্দনবার্তার জন্য ধন্যবাদ, তবে নিজেদের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু যেন তৃণমূল আমাদের কাছে আশা না করে স্পষ্ট জানিয়েদিল রাজ্য আপ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন : আপের জয় অহঙ্কারের হার, মোদীকে খোঁচা মমতার
আরও পড়ুন : দিল্লি রায়: ইতিহাস গড়ল আপ, দিল্লি কংগ্রেসমুক্ত, দুই অঙ্কেও পৌঁছল না বিজেপি
আরও পড়ুন : দিল্লিবাসীর কাছে আপকে ভোট দেওয়ার আহ্বাণ মমতার! হঠাৎ কেন এই আপ-প্রীতি?
দিল্লিতে আপের ঐতিহাসিক জয়কে হাতিয়ার করে আদতে সেই বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকেই খোঁচা দিয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, আপের জয় আসলে অহঙ্কারের হার। বিজেপি 'লিমিটলেস নোংরামি' শুরু করেছে, ইত্য়াদি ইত্যাদি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হয়তো ভেবেছিলেন, রাজ্যে তৃণমূলের যা কোণঠাসা অবস্থা, তার উপর বিজেপি হুড়মুড়িয়ে উঠে আসছে। বিজেপি কংগ্রেসকে পাশে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। যদি আপ নামক খড়কুটো ধরে ভেসে ওঠা যায়। কিন্তু সেগুড়ে বালি।
রাজ্যের আপ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাধার কোনও সম্ভবানাই নেই। কারণ আপের আসল লড়াইটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর সারদা কাণ্ডে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। এমন একটি দুর্নীতিপরায়াণ দলের সঙ্গে কখনওই নয়। বরং রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে আপের মূল প্রতিপক্ষ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলই।
মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে আপ নেতারা জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়া তাদের মূল ইস্যু হবে। এদিকে সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় রাজ্য কমিটি তৈরি না হওয়ায় দলের কোনও পদাধিকার না থাকা এই আপ দল ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ টি আসনেই প্রার্থী দিতে চাইছেন। শুধু তৃণমূল নয়, কোনও দলের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাধার কথা আপাতত নেতৃত্ব না ভেবে 'একলা চলো নীতি'-তেই ভরসা রাখতে চাইছে আম আদমি পার্টি জানাসেন আপ নেতা অমিয় চক্রবর্তী।