মুক-বধির কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ১০ বছর কারাদণ্ড যুবকের
মূক-বধির কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক।
উত্তর ২৪ পরগনা, ২৫ মার্চ : মূক-বধির কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় দোষীসাব্যস্ত ফারুক মণ্ডলের এই সাজা ঘোষণা করেন। চার বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর ধর্ষণের রায় বের হল। এই মামলায় দো-ভাষী রেখে নির্যাতিতার জবানবন্দি ও রায়দানের ব্যবস্থা করা হয়।
২০১৩ সালের ৪ নভেম্বরের ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের তরণীপুরে কালী পুজো দেখে বাড়ি ফিরছিল প্রতিবন্ধী কিশোরী। তখন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় ফারুক মণ্ডল নামে ওই যুবক। মুক-বধির নাবালিকার উপর রাতভর যৌন নির্যাতন চালায়। বাড়ি ফিরে আকারে ইঙ্গিতে সবকথা সে জানায় বাবা-মাকে। তারপর নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা গোপানলগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ফারুককে। তারপর চার্জশিট পেশ হয়। শুরু হয় বিচারপক্রিয়া। এরই মধ্যে দোভাষী দ্বারা বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেয় নির্যাতিতা। আদালতের পক্ষ থেকে দোভাষী ওই মূক-বধির কিশোরীকে সাজার ঘোষণাও শোনান।
বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্ত ফারুক মণ্ডলকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করার পর দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। জরিমানার অর্থ নির্যাতিতা কিশোরীর হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন বিচারক। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড।