জামাইকে চেয়ারে বেঁধে পেটালেন শাশুড়ি! বিজয়া সারতে এসে মিষ্টি নয়, জুটল উত্তম-মধ্যম
জামাইকে চেয়ারে বেঁধে রাম ধোলাই দিলেন শাশুড়ি। শ্বশুরবাড়িতে বিজয়া সারতে এসে জামাইয়ের কপালে মিষ্টির বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। শাশুড়ি একা নন, সঙ্গে স্ত্রীও দিলেন প্রহার।
জামাইকে চেয়ারে বেঁধে রাম ধোলাই দিলেন শাশুড়ি। শ্বশুরবাড়িতে বিজয়া সারতে এসে জামাইয়ের কপালে মিষ্টির বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। শাশুড়ি একা নন, সঙ্গে স্ত্রীও দিলেন প্রহার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির অরবিন্দপল্লিতে। জামাইয়ের আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জামাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাশুড়ি-বউয়ের হাতে আক্রান্ত জামাই স্বদেশ মুখোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পুলিশকে জানান ঘটনা বৃত্তান্ত।
এরপর পুলিশ এসে অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ি-স্ত্রীকে আটক করে। জানান, সাত সকালে আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি, চেয়ারে বেঁধে জামাই পেটাচ্ছে শাশুড়ি। আত্মরক্ষার কোনও পথই পাচ্ছেন না তিনি। তখন মারমুখী মেয়ে ও মাকে আমরাই শান্ত করি।
[আরও পড়ুন:দাদার সঙ্গে ঝগড়া, বৌদির মান ভাঙাতে গিয়ে আমানবিকতার বলি দেওর! নৃশংসকাণ্ড]
চেয়ারে বেঁধে মারের চোটে জামাইয়ের দুই হাতে ও পিঠে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। সারা শরীরে কালসিটে দাগ। কিন্তু তাঁর এই হাল কেন? কেনই বা তিনি স্ত্রী-শাশুড়ির হাতে এভাবে মার খেলেন। লাভপুরের বাসিন্দা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক দার্জিলিং থেকে বেড়িয়ে এসে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে স্ত্রী তাঁর কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: নরবলি দেবীকে তুষ্ট করতে! একবিংশ শতাব্দীতেও মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের বলি হল শিশু]
স্বদেশবাবু তখন স্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওই টাকা কী হবে? তা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বেধে যায়। মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির মাঝেই এসে পড়েন মা। তারপর মা-মেয়েতে মিলে জামাইকে চেয়ারে বেঁধে প্রহার দিতে শুরু করে। সেইসঙ্গে চলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি। প্রতিবেশীরা জানান, এই মারধরের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এদিন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় মারধর। প্রতিবেশীরা গর্জে ওঠেন প্রতিবাদে।
[আরও পড়ুন: চিতায় তোলার পরই নড়ে উঠল মড়া! 'মিরাকেল' ঘটতে পারে, কিন্তু তারপর যা হল... ]