পেটের এফোঁড়-ওফোঁড় তিনটি রড! প্রাণপণ বাঁচার লড়াই রাজমিস্ত্রির, তৎপর চিকিৎসকরা
পেটের এফোঁড়-ওফোঁড় তিন-তিনটি রড। সেই অবস্থায় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হল রোগীকে। তাঁর চিকিৎসায় চটজলদি সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হল।
পেটের এফোঁড়-ওফোঁড় তিন-তিনটি রড। সেই অবস্থায় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হল রোগীকে। তাঁর চিকিৎসায় চটজলদি সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হল। কিন্তু উপায় মিলল না কী করে রড বের করা হবে। শেষপর্যন্ত পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ডাকা হল রড কাটতে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় এক বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন উদয় সর্দার। ছাদে কাজ করার সময় আচমকাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়েন ওই ব্যক্তি। নিচে রডের উপর পড়েন তিনি। তিনটি রড তার পেটে ঢুকে যায়। এই ঘটনার পরই রাজমিস্ত্রিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ঘুটিয়ারি শরিফ হাসপাতালে।
তারপর বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল হয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়। ডিজিটাল এক্স-রে করে জানা যায় রডগুলির অবস্থান। চিকিৎসকরা জানান একটি রড যকৃতের সামনে গিয়ে আটকে গিয়েছে, অন্য রডগুলি পেটের এফোঁড়-ওফোঁড় হলেও যকৃত বা কিডনির ক্ষতি করতে পারেনি।
চিকিৎসকরা আগে রডগুলি কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়া হয় গ্যাস কাটার দিয়ে রডগুলি কাটার জন্য। কিন্তু তাতেই আশঙ্কা রক্তক্ষরণ বাড়তে পারে রোগীর। এখন রড ঢুকে আছে বলে, রক্ত বের হচ্ছে না। কিন্তু রজ কাটা হলে বা টেনে বের করা হলে রক্তক্ষরণের সমূহ সম্ভাবনা থাকছে।
এখন অপারেশনই প্রধান উপায়। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে তা করা সম্ভব, তার উপায় বের করতেই তটস্থ চিকিৎসকরা। এদিনই জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা হবে উদয়ের। উদয়ের পরিবার এই খবর শুনেই ছুটে এসেছেন হাসপাতালে। উদয়ের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখন অধীর প্রতীক্ষায় উদয়কে সুস্থ করে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। উদয়ও প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, লড়াই চালাচ্ছেন জীবন রক্ষার জন্য। আর লড়াই চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উদয়কে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য।