বইমেলার অশান্তি গড়াল থানায়, মহিলা পুলিশকর্মী প্রহৃত বিক্ষোভকারীদের হাতে
বইমেলায় বিজেপিকর্মীদের সঙ্গে যাদবপুর পড়ুয়াদের অশান্তির আঁচ গড়াল থানা পর্যন্ত। বিধাননগর থানায় পুলিশে্র সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিক্ষোভকারীদের। যাদবপুরের পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিল।
বইমেলায় বিজেপিকর্মীদের সঙ্গে যাদবপুর পড়ুয়াদের অশান্তির আঁচ গড়াল থানা পর্যন্ত। বিধাননগর থানায় পুলিশে্র সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিক্ষোভকারীদের। যাদবপুরের পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিল। তখন পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক মহিলা পুলিশকর্মীকে বেঘড়ক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা।
থানায় হুলুস্থূল বেধে যায়। পুলিশকর্মীরা চটজলদি পরিস্থিতিত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ওসি থানায় ছুটে আসেন। মহিলা পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করা হয়। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের পৃথক করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ প্রশমিত করতে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের নিঃশর্তে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলবে এই ঘটনার। তদন্ত সাপেক্ষে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উৎসব প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর ইস্যুতে ধুন্ধুমার-কাণ্ড বেঁধে যায় বইমেলায় জনবার্তা স্টলে। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি এই পরিস্থিতি। বইমেলা থেকে করুণাময়ী মোড় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নিমেষের মধ্যেই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ স্থানীয় সূত্রের খবর, কলকাতা বইমেলায় নিজেদের দলীয় স্টলে আসেন বিজেপি'র কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। আর সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীরা স্লোগানের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকেন। শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীরা তেড়ে গেলে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার-কাণ্ড।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। ফলে তর্কাতর্কি থেকে ক্রমে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী, ব়্যাফ, কমব্যাট ফোর্স আসে। বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার পরই গোলমাল বাধে। বিক্ষোভকারীরা পাল্টা অভিযোগ জানাতে যায় থানায়। তখনই পুলিশের সঙ্গে গোল বাধে। তাতে থানা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। মহিলা পুলিশকর্মীও রেহাই পায়নি সেই বিক্ষোভের আঁচ থেকে।