সিগন্যাল বিভ্রাটে লরিতে পিষ্ট পথচারী! জনরোষে পুড়ল জাতীয় সড়কের ট্রাফিক বুথ
হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক পথচারীর মৃত্যু হল। তারপর উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশের বুথে।
সিগন্যাল-বিভ্রাটে দুর্ঘটনার অভিযোগ তুলে ট্রাফিক পুলিশের বুথে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণিতে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক পথচারীর মৃত্যু হল। তারপর উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশের বুথে। এছাড়া আরও একটি দুর্ঘটনায় জখম হন ৩০ জন বাসযাত্রী।
এদিন প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে পাঁশকুড়া-ঘাটল সড়কের মেছোগ্রামে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এক সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাস ও লরি। এই ঘটনায় ৩০ জন বাসযাত্রী জখম হন। এদের মধ্যে গুরুতর জখম যাত্রীদের পাঁশকুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার এক ঘণ্টা পরেই পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণিতে এক পথচারী রাস্তা পার হওয়ার সময় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যান। সিগন্যাল বিভ্রাটের জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় জনতার অভিযোগ। উত্তেজিত জনতা এরপর ট্রাফিক পুলিশের বুথে ভাঙচুর চালায়। অগ্নিসংযোগও করে দেওয়া হয় ট্রাফিক বুথে। ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে জনতা।
অবরোধ তুলতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। দমকল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুরো ট্রাফিক বুথটাই দাউদাউ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় জনতার সঙ্গে। পরে কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। পুলিশ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ধরপাকড় শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন:পরপুরুষের সঙ্গে মা-কে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলল ৬ বছরের শিশু, তারপর যা হল]