ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য কোটি টাকার দাবি মেয়রের! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ব্যবসায়ীর
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ব্যবসায়ী মধুসূদন চক্রবর্তীর কাছে থেকে এক কোটি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এই টাকা তিনি দাবি করেন।
বিধাননগরের মেয়রের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী। বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ব্যবসায়ী মধুসূদন চক্রবর্তীর কাছে থেকে এক কোটি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এই টাকা তিনি দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: বাংলার 'সবার সেরা' সরকারকে দেখে শিক্ষা নিক কেন্দ্র, মোদীর উদ্দেশ্যে আহ্বান মমতার]
ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ফোন করে সব্যসাচী দত্ত তাঁকে হুমকি দেন, ওই টাকা তাঁকে দিতেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েও কোনও লাভ নেই বলে হুমকি দেওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে। সব্যসাচী দত্ত বলেন, 'ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি কেন টাকা চাইতে যাব। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।'
কোনও উপায় না পেয়ে ব্যবসায়ী মধুসূদন চক্রবর্তী প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি মেয়রের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব। আমি বলব, আমাকে বাঁচান। প্রয়োজনে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাব।''
[আরও পড়ুন: ক্যাশ নয় ব্যাঙ্কে এখন জমবে অ্যাস! তীব্র কটাক্ষে মোদী সরকারকে খোঁচা মমতার ]
ওই ব্যবসায়ীর দাবি, ২০ দিন আগে একটা রবিবার তাঁকে ফোন করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সেইমতো মেয়রের পাঠানো লোকের হাতে আমি ওই টাকা দিয়ে দিই। তারপর তিনি ফোন করে ওই টাকার প্রাপ্তি স্বীকারও করেন। এরপর সব্যসাচী দত্ত তাঁকে ফোন করে প্রথমে ৩০ লক্ষ টাকা চান এবং পরে ত্রিপুরা নির্বাচনের কথা বলে এক কোটি টাকা চাওয়া হয়।
সেই টাকা তিনি দিতে অপারগ বলে জানানোর পরই তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েও কিছু হবে না বলে হুমকির পাশাপাশি জানানো হয়, টাকা না পেলে সব্যসাচী দত্তের থেকে খারাপ লোক কেউ হবে না। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সব্যসাচী দত্তকে ফোন করা হয়।
সব্যসাচী দত্ত জানান, একেবারেই ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি কেন টাকা চাইতে যাব। আবার ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য সল্টলেকে কেনই বা টাকার দাবি করা হবে। এসবই পরিকল্পিত চক্রান্ত। অভিযোগ করানো হচ্ছে। সামনেই ত্রিপুরা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রাক্কালে ওই ব্যবসায়ীকে দিয়ে কেউ এই অভিযোগ করাচ্ছে। এই কথায় সব্যসাচী বুঝিয়ে দেন, এর পিছনে রয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে এসব নিছক রটনা ছাড়া আর কিছু নয়।
[আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের 'ট্যাঁ-ফুঁ' করতে না দিয়ে ভয়াবহ ডাকাতি গড়চুমুকের সোনা দোকানে]