সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘ট্যাঁ-ফুঁ’ করতে না দিয়ে ভয়াবহ ডাকাতি গড়চুমুকের সোনা দোকানে
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে, পিছমোড়া করে বেঁধে হাওড়ার গড়চুমুকের দুটি সোনা দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে, পিছমোড়া করে বেঁধে দুঃসাহসিক ডাকাতি হল হাওড়ার গড়চুমুকের দুটি সোনা দোকানে। সোমবার রাতে এই ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ডাকাতির পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, নিরাপত্তার বজ্র-আঁটুনি থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটল। শ্যামপুর থানা এলাকায় রাত ১২টার পর থেকেই নাকাবন্দি করে তল্লাশি চলে। তার মধ্যে দিয়ে ডাকাত দল বাজারে ঢুকল কী করে, আর কী করেই 'অপারেশন' চালিয়ে তারা পালিয়ে গেল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা।
পুলিশ সূ্ত্র জানা গিয়েছে, শ্যামপুরের গড়চুমুক বাজারে রাত দেড়টা নাগাদ হানা দেয় ৯-১০ জনের এক ডাকাত দল। বাইকে করে এসে প্রথমেই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে তাঁরা বেঁধে ফেলে। তারপর তাঁদের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে বাকিদেরও হাত-পা বেঁধে একটি দোকান ঘরে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দেয় ডাকাতরা। অভিযোগ, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মোবাইলের সিম কার্ডও খুলে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দুটি সোনার দোকানে ঢুকে তারা নিশ্চিন্তে 'অপারেশন' চালায় তারা।
বাজারের দু-প্রান্তে দুটি সোনার দোকান রেণুকা জুয়েলার্স ও মিতা জুয়েলার্স। ডাকাতরা দোকানের সাটার ভেঙে ঢুকে গয়না ও নগদ-সহ লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র লুঠ করে পালিয়ে যায়। ডাকাতদল অপারেশন চালিয়ে চলে যাওয়ার পর সিভিকরা চিৎকার শুরু করে। তাদের আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উদ্ধার করে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ চেষ্টা করছে ডাকাতদের শনাক্ত করতে। সিভিক সদস্যরা জানান, ডাকাত দলের প্রত্যেকেরই মুখ বাঁধা ছিল রুমাল দিয়ে। ফলে সিভিকের পক্ষে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের দৈহিক বিবরণ শুনেই স্কেচ এঁকে পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
পুলিশ সব থেকে আগে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে- কোন পথ দিয়ে তা্রা এল এবং কোন পথ দিয়ে তারা পালাল। সেইসঙ্গে স্থানীয় কোনও 'টিপার' ছিল কি না এই ডাকাতির পিছনে, তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে সোনা দোকান দুটি থেকে কত টাকার জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দোকান মালিকদের।