ক্লাস চলাকালীন গুলির আওয়াজ, রক্তের নদী ভেসে যাচ্ছে, মেঝেতে পড়ে রয়েছে ছাত্র
ক্লাস চলছিল পুরোদমে। হঠাৎ গুলির আওয়াজ। বাথরুমের দিক থেকেই এসেছিল আওয়াজটা। ছুটে গিয়ে দেখা গেল, গুলিবিদ্ধ ছাত্র পড়ে রয়েছে মেঝেতে।
ক্লাস চলছিল পুরোদমে। হঠাৎ গুলির আওয়াজ। বাথরুমের দিক থেকেই এসেছিল আওয়াজটা। ছুটে গিয়ে দেখা গেল, গুলিবিদ্ধ ছাত্র পড়ে রয়েছে মেঝেতে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাথরুম। তার হাতে ধরা বন্দুক। প্রাথমিক অনুমান, শৌচালয়ের মধ্যে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র কলিম শেখ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের কেতুগ্রামে।
কেতুগ্রামের দধিয়া গোপালদাস হাইস্কুলের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রের মৃত্যু ঘটনা ঘটল। কেতুগ্রামেরই রতনপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রের হাতে কী করে পিস্তল এল। এবং কেনই বা সে স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে বাথরুমে গিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালাল, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ এই ঘচনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতিদিনের মতো সময়েই স্কুলে এসেছিল কলিম। ক্লাসের মাঝে কলিম শৌচালয়ে যায়। তারপর শৌচালয়ের ভিতরে গিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে কলিম। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই পুলিশকে খবর দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৯ এমএম পিস্তল।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দশম শ্রেণির ছাত্রের হাতে কী করে বন্দুক এল? সে আবার সেই বন্দুক নিয়ে সটান স্কুলে এসে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করল। এর পিছনে কোনও গূঢ় রহস্য রয়েছে। নিছকই আত্মহত্যা নাকি প্রেমঘটিত কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।