ধেয়ে আসছে আম্ফানের মতো সুপার সাইক্নোন, পূর্বাভাসে আশঙ্কার বার্তা এনডব্লুএসের
আম্ফানের মতো শক্তিশালী সুপার সাইক্নোন হানা দিতে পারে এবার। একুশের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ই সাংগাতিক রূপ নিতে পারে বলে মার্কিন ভিত্তিক জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা বা এনডাব্লুএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আম্ফানের মতো শক্তিশালী সুপার সাইক্নোন হানা দিতে পারে এবার। একুশের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ই সাংগাতিক রূপ নিতে পারে বলে মার্কিন ভিত্তিক জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা বা এনডাব্লুএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গ্লোবাল পূর্বাভাস সিস্টেমের পক্ষ লথেকে ওই সংস্থা সতর্ক করেছে। এবারও এই ঝড়ের অভিমুখ বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা উপকূল।
সুপার সাইক্নোন আঘাত হানতে পারে ওড়িশা উপকূলে
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার পক্ষ থেকে পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে, ফণীর থেকেও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে ওড়িশা উপকূলে। ২০১৯-এর মে মাসে ফণীর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়েছিল ওড়িশা উপকূল। এবার আম্ফানের মতো শক্তিশালী রূপ নিয়ে সুপার সাইক্নোন আঘাত হানতে পারে ওড়িশা উপকূলে।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসতে পারে ঝড়
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১৩ মে নাগাদ। জিএফএসের পূর্বাভাস, ১০ মে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিস্টেমটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসতে পারে ওড়িশা উপকূলের দিকে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলও রেহাই পাবে না, পূর্বাভাস
ওড়িশার দিকে অভিমুখ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা লাগতে পারে। আর অভিমুখ একটু ঘুরে গেলেই পশ্চিমবঙ্গ ফের ঝড়ের মুখে পড়তে পরে। এই পূর্বভাসের ফলে ওড়িশায় যেমন ফণীর আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে, তেমনই বাংলায় আম্ফানের ছায়া ফিরে আসছে এক বছর পর।
আইএমডির কাছে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত কোনও ডেটা নেই
তবে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বা আইএমডি জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে বর্তমানে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। এনডব্লুএস যে তথ্য দিচ্ছে, তেমন কোনও তথ্যা তাদের হাতে নেই। আইএমডির কাছে এ জাতীয় আবহাওয়ার কোনও ডেটা নেই বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে তা অবিলম্বে জানানো হবে বলে ভুবনশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রবীণ আবহাওয়াবিদ উমাশঙ্কর দাস জানিয়েছেন।
ভুবনেশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালকের বক্তব্য
ভুবনেশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক এবং এসওএ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক শরৎচন্দ্র সাহুর মতে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ১০ বা ১১ মে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে বলা হলেও এখন সেখানে কিছু নেই। ফলে ১০ মে-র ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায় পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়।
২-৩ দিনের মধ্যে পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে ঘূর্ণিঝড়ের
সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশে করার আগে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। এই ঘূর্ণাবর্ত ও ঘূর্ণিঝড়গুলি বর্ষাকে উপকূলের দিকে ঠেলে দেয়। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে একটি পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম কী হবে
এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে তাউটে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, মে মাসে এবছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় 'তাউটে' ধেয়ে আসতে পারে। এনডব্লুএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৩ মে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় তাউটে। এই ঝড়ের নামকরণ করেছে মায়ানমার। তারপরের দুটি ঝড় যাস ও গুলাবের নামকরণ যথাক্রমে ওমান ও পাকিস্তানের করা।