মুম্বইয়ের পর মেদিনীপুর, অঙ্কনের মৃত্যুতেও কি নীল তিমির থাবা
মুম্বইয়ে ছ-তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় মনপ্রীত সিং নামে এক কিশোর। তারপর মেদিনীপুরের কিশোর অঙ্কন মারণ নেশায় বুঁদ হয়ে আত্মঘাতী হল। তবে কি এবার বাংলাতেও থাবা বসাল নীল তিমি?
এ রাজ্যের কি থাবা বসাল নীল তিমি? মুম্বই থেকে নীল তিমির নেশার জাল ছড়িয়েছে সুদূর মেদিনীপুরেও! সেই আশঙ্কাই জোরালো হচ্ছে দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কন দে-র মৃত্যুর ঘটনায়। পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে সেই ভয়ঙ্কর তথ্য। অঙ্কন-মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অঙ্কনের অনলাইন সুইসাইড গেমের নেশা ছিল। সেই নেশাই কাল করল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরের বাসিন্দা অঙ্কন। দশম শ্রেণির ছাত্র। বাবা গোপীনাথ দে-র একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানে বসেই নেট সার্ফিং করছিল অঙ্কন। বাবা তা দেখেই বাইরে গিয়েছিল। ফিরে এসে দেখেন অঙ্কন দোকানে নেই। তারপর কখন অঙ্কন বাড়ি ফিরে শৌচাগারে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয়, তা কেউ জানে না। মাকে বলে যায় ভাত বাড়তে। অনেকক্ষণ ফিরে আসছে না দেখেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কেন অঙ্কন এই কাজ করল?
উত্তর খুঁজতে গিয়ে তাজ্জব বনে গিয়েছেন তদন্তরকারীরাই। পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অঙ্কন পছন্দ করত নীল তিমির মারণ নেশার ওই অনলাইন গেম। মুম্বইয়ে ছ-তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় মনপ্রীত সিং নামে এক কিশোর। তারপর মেদিনীপুরের কিশোর অঙ্কন মারণ নেশায় বুঁদ হয়ে আত্মঘাতী হল। তবে কি এবার বাংলাতেও থাবা বসাল নীল তিমি?
আনন্দপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিল অঙ্কন। পছন্দের খেলা ছিল অনলাইন সুইসাইড গেম। তার জন্য বকাবকিও খেয়েছে বাবা-মায়ের কাছে। মাঝেমধ্যেও বাবার দোকানে কম্পিউটার সার্চ করে কখনও পাড়ার সাইবার কাফেতে সে মগ্ন হয়ে পড়ত অনলাইন গেমে। অঙ্কনের মৃত্যুর পর বাবার দোকানের কম্পিউটারটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অঙ্কনের বন্ধুদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে এই ব্যাপারে।