সুস্থ হয়েও হাসপাতালে, বাড়ির লোক ফিরিয়ে না নেওয়ায় গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
সেই যে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনরা, আর নিতে আসেননি। সুস্থ হয়েও হাসপাতালেই কাটাতে হচ্ছিল তাঁকে। শেষে অভিমানে গায়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালেন রোগী।
দার্জিলিং, ১৪ মার্চ : সেই যে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনরা, আর নিতে আসেননি। সুস্থ হয়েও হাসপাতালেই কাটাতে হচ্ছিল তাঁকে। শেষে অভিমানে গায়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালেন রোগী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক অবসাদেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের বাথরুমে গিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন রোগী। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপরই দেখা যায় বন্ধ বাথরুমে দাউ দাউ করে জ্বলছে তাঁর পুরো শরীর।
স্বাস্থ্য কর্মীরাই আগুন নিভিয়ে তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মালবাজারের বাসিন্দা ওই রোগী। ডান হাতের কনুইয়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় প্লাস্টার করা হয়। তারপর পরিজনরা কোনও যোগাযোগ করেননি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ছুটি দেওয়া হলেও, তিনি বাড়ি ফিরতে পারেননি। হাসপাতালই হয়েছে তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা।
হাসপাতাল সুপারের কথায়, পারিবারিক বিবাদের জেরেই তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাননি কেউ। আমরাও মানবিকতার খাতিয়ে হাসপাতালে থেকে চলে যেতে বলতে পারিনি। পুলিশকে এই বিষয়টি অবগত করানো হয়েছে।