মা নৃশংস খুন, সেপটিক ট্যাঙ্কে মেয়ে, নাতনি অপহৃতা! হাড় হিম করা ঘটনা বারুইপুরে
বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল ঘর। দরজা ভেঙে দেখা যায় বৃদ্ধার হাত-পা বাঁধা দেহ পড়ে রয়েছে। আর গোঙানির শব্দ শুনে উদ্ধার করা হয় সেপটিক ট্যাঙ্কে আটকে থাকা মুর্শিদাকে।
মেয়ের হাত-পা বেঁধে সেপটিক ট্যাঙ্কে আটকে বৃদ্ধা মাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। খোঁজ নেই ২০ দিনের নাতনিরও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারুইপুরে উত্তরভাগে চক্রবর্তী আবাদের নৃশংস এই ঘটনা ক্রমেই চাঞ্চল্যকর মোড় নিচ্ছে। কেন এই নৃশংসতা তাঁর তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে উঠে এসেছে অন্য একটি মৃত্যুর ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সায়েরা বেওয়া। আর মেয়ে মুর্শিদা। সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে অনেক ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাননি জামাই আজিজুল মোল্লা। এরপরই তাঁর কানে আসে গোঙানির শব্দ। নজরে আসে বারান্দায় রয়েছে রক্তের দাগ। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের হাঁকডাক শুরু করে দেন আজিজুল।
বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল ঘর। দরজা ভেঙে গোঙানির শব্দ শুনে উদ্ধার করা হয় সেপটিক ট্যাঙ্কে আটকে থাকা মুর্শিদাকে। সায়েরা বিবির দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির পাশে পানা পুকুর থেকে। তবে তাঁর শিশু কন্যার খোঁজ মেলেনি। বারুইপুর থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, প্রতিহিংসার কারণেই এই খুন ও অপহরণ। দিন ১০ আগে এলাকায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সোনা সর্দার নামে মুরগির দেকানের কর্মীর দেহ উদ্ধার হয় সায়েরাদের পুকুর থেকে। স্বাভাবিক কারণেই এই প্রতিহিংসার খুনের অভিযোগ উঠেছে সোনা সর্দারের পরিবারের দিকে।
অভিযোগ, সোনা সর্দারের মৃত্যুর পিছনে সায়েরা বেওয়ার পরিবারের হাত রয়েছে ভেবেই এই হামলা চালানো হতে পারে। তারই জেরে খুন, গুমের চেষ্টা ও অপহরণ। সায়েররা মাথায় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেননা তাঁদের কথাতেও নানা অসঙ্গতি মিলেছে বলে অভিযোগ।
বৃদ্ধা খুনের পিছনে তাঁর মেয়ে জামাইকে একেবারে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না। তাঁদেরও কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এমনই একটা ঘটনা কয়েকদিন আগে ঘটেছিল বেহালায়। সেখানেও মায়ের সম্পত্তি হাতাতে মেয়ে-জামাই পরিকল্পনা করে খুন করেছিল বৃদ্ধা শাশুড়িকে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।