ইংরেজি পড়া বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় আত্মঘাতী কলকাতা মেডিকেল কলেজের নার্সিং ছাত্রী
ইংরেজি পড়া বুঝতে অসুবিধা ও রং মিস্ত্রি বাবার ৫ লক্ষ টাকা ধার, সুইসাইড নোটে এই জবানী লিখে আত্মঘাতী হলেন কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের নার্সিং এর ছাত্রী সমাপ্তি। শনিবার সকালে হোস্টেল থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে তার বান্ধবীরা। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হলে প্রাথমিক তদন্তের পর তার দেহে কোনও রহস্যজনক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, ছাত্রীটি অনেক দিন ধরেই ক্লাসের ইংরেজি পঠনপাঠনের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছিল না। পাশাপাশি তার উচ্চশিক্ষার জন্য বাবার ৫ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝাও ক্রমশ তার কাছে হতাশা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল। অনেকেরই ধারণা, এর জেরেই মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেন ওই ছাত্রী।
কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার সুপার ডঃ বিমল বন্ধু সাহা বলেছেন, "এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বাবার প্রত্যাশা অনুযায়ী সে তার পড়াশোনা করতে পারছে না, এমন এর আগেও ওই ছাত্রী দিয়েছিলেন।" যদিও তারপরেও তারপর কলেজের তরফে কেনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলো না সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।
গত আগস্টেও একই রকম একই ঘটনায় প্রাণ যায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্রের। ইংরেজিতে পড়ার ধরণ বুঝতে না পেরে মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ঋষিক কোলে।
এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় আঞ্চলিক ভাষা হিসাবে শুধুমাত্র গুজরাটি ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করে বাংলা সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা গুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলেন।