চাদর আর জ্যাকেটে আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে বিধায়ককে নিশানা! সত্যজিৎকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল-কে জেরা করে নাকি এইসব তথ্য মিলেছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল-কে জেরা করে নাকি এইসব তথ্য মিলেছে বলে দাবি করছে পুলিশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার খুনের ঘটনার ছক নাকি আনেক আগেই কষা হয়ে গিয়েছিল। সত্যজিৎ বিশ্বাস যে বাড়ির সামনে ক্লাবের এই অনুষ্ঠানে সে তথ্যও আগে থেকে সংগ্রহ করে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সুত্রে দাবি করা হচ্ছে, ফুলবাড়ির যে ক্লাবের অনুষ্ঠানে সত্যজিৎ বিশ্বাস যোগ দিয়েছিলেন তার সামনে বিশাল মাঠ ছিল। এর এই মাঠের পাশ দিয়ে প্রচুর গাছ ছিল। অনুষ্ঠানের দিন মাঠে ভালোই ভিড় হয়েছিল। আর এই ভিড়়ের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু দুষ্কৃতী মাঠের ধারে থাকা গাছের তলায় ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিল।
দাবি করা হচ্ছে যে জেরায় ধৃত কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল জানিয়েছে যে মোট ১০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল সে দিন সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানের ভিড়ে মিশে গিয়েছিল। এরা সকলেই সশস্ত্র অবস্থায় এসেছিল। চাদর ও জ্যাকেটের তলায় লুকানো ছিল আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশের দাবি, কোনওভাবে এই দুষ্কৃতীদের জনতা ধাওয়া করলে তারা ফায়ারিং করতে করতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেই কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের দলটি। এই দলটির মধ্যে থেকে দু'জন গিয়েছিল সত্যজিৎ বিশ্বাসের একদম সামনে।
কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, সত্যজিৎ বিশ্বাসের মাথা বুলেট এঁফোড়-ওফোঁড় করতেই উপস্থিত জনতা বিহ্বল হয়ে যায়। রাতের অন্ধকারের সঙ্গে মাঠের মধ্যে পর্যাপ্ত আলোর অভাবের সুযোগ নিয়ে নেয় আঁততায়ীরা। জনতা সত্যজিৎ-কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে ঘটনাস্থল ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
পালিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা একটি ওয়ানশাটার ফেলে দেয়। এই ওয়ান-শাটার রিভলবার থেকেই সত্যজিৎ-কে খুন করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সত্য়তিৎ-এর পরিবারের অভিযোগ, খুনের মাস্টারমাইন্ড অভিজিৎ কুন্ডারি। তিনি অবশ্য নিখোঁজ। কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হলেও এদের পরিবারের দাবি ছেলেরা নির্দোশ।সত্যজিৎ খুনে তাঁদের মিথ্যা মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়-এর নামও এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, মুকুল রায়কে এখনও জেরায় ডাকেনি পুলিশ। তাকে আদৌ এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ জেরা করবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে।