সাইক্লোন 'আম্ফানে'র পথ ধরে ধেয়ে এল আর এক দুর্যোগ, মাত্র ২০ মিনিটেই লন্ডভন্ড সব
আম্ফানের পথ ধরেই ধেয়ে এল মস্ত এক ঘূর্ণিপাক, মাত্র ২০ মিনিটেই লন্ডভন্ড এলাকা
আম্ফানের তাণ্ডবের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপ। রাজধানী কলকাতাও বিধ্বস্ত হয়েছে আম্ফানের ঘূর্ণিতে। কিন্তু মহাদুর্যোগের পরও যেন বাংলার রক্ষা নেই। ফের বাংলার বুকে ধেয়ে এল এক ঘূর্ণিপাক। সেই ঘূর্ণিতে লন্ডভন্ড রাঢ়বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
মহাসাইক্লোনের পথ ধরে
মহাসাইক্নোন আম্ফান চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলারগুলির উপর তাণ্ডব চালিয়েছে। ১৭৩৭ সালের পর এমন ঝড়ের তাণ্ডব দেখেনি কলকাতা বা তার সংলগ্ন জেলাগুলি। এবার রাঢ়বঙ্গে হঠাৎ আবির্ভূত হল নয়া এক ঘূর্ণিপাক। যে ঝড়ে এক লহমায় নিঃশেষ গাছপালা-বিদ্যুতের খুঁটি, তার।
মাত্র মিনিট ২০-র ঝড়েই সব শেষ
মাত্র মিনিট ২০-র ঝড়। তার বীভৎসতাও হার মানাবে মহাসাইক্নোনকে। ২০ মিনিটের ঝড়ে পড়েছে বিরাট বিরাট গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, তার ছিঁড়ে লন্ডভন্ড অবস্থা। পড়ে গিয়েছে মাটির বাড়ি, পাকা বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে বেশ। বহু টিন, টালি, অ্যাজবেস্টারের চাল উড়ে গিয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গ্রাম।
যে সব এলাকা ঝড়ের প্রকোপে
রবিবার সন্ধ্যায় এই ঝড়ের তাণ্ডব দেখা গিয়েছে বীরভূমের সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের আলুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এক লহমায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বড় আলুন্দা গ্রাম, নন্দপুর, ভান্ডিবল, মহম্মদবাজার এলাকার বাহিরা গ্রাম। এই সামান্য সময়ের ঝড়েই ১৫-২০টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০-২৫টি গাছ উপড়ে গিয়েছে। পড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
মহাদুর্যোগের পর যেন আফটার শক
করোনা মহামারীর মধ্যেই মহাদুর্যোগ ঘনিয়ে এসেছিল বাংলার আকাশে। সেই মহাদুর্যোগে শেষে বাংলার পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। পাঁচদিন পরও পরিষেবা অমিল বহু জায়গায়। কবে বিদ্যুৎ, জল আসবে জানেন না কেউই। এই অবস্থায় সিউড়ির বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও ঝড়ের তাণ্ডব ভয়াবহ আকার নিল।
গুজরাতে 'এন ৯৫' মাস্কের জন্য দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, রূপানি সরকারের নতুন কীর্তি