তৃণমূলের আর এক ‘অনুব্রত’! হাত-পা কেটে নেওয়ার কটূ রাজনীতিতে নয়া সংযোজন
তৃণমূলের আর এক ‘অনুব্রত’! হাত-পা কেটে নেওয়ার কটূ রাজনীতিতে নয়া সংযোজন
কু-কথার রাজনীতির অন্ত নেই। এর নেতা যায়, এক নেতা আসে। বিরামহীনভাবে চলতে থাকে বাজে কথার রাজনীতির। এতদিন যে ভাষায় হুঙ্কার দিতে দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে, সেই ভাষায় রাজনীতি করতে দেখা গেল এবার তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতিকে। তবে এই কাজে কম যান না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা অন্যান্যরাও।
হাত খসিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে পা কেটে দেওয়ার হুমকি
অনুব্রত মণ্ডল বা দিলীপ ঘোষদের ধাঁচেই রবিবার কু-কথা শোনা গেল মালদহ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির মুখে। বিরোধীদের হাত খসিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে পা কেটে দেওয়া, কোনও কিছুই ছাড়েননি তিনি। তৃণমূল জেলা সভাপতির এহেক কটূ মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপিও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল নেতার ওইরূপ আচরণের।
বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রেখে হুঁশিয়ারি
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অযথা কুৎসা করা হচ্ছে- এই মর্মে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল শেষে গোজোল বাসস্ট্যান্ডে এক পথ সভা থেকে আবদুর রহি্ম বক্সি হুঙ্কার ছাড়েন, আমাদেরকে বাঁশ দেখাবেন না। বাঁশ দেখালে আমরা তার হাত খসিয়ে দেব, পা কেটে নেব। বিরোধী বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রেখে হুঁশিয়ারি দেন আবদুর রহিম।
তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ, কত শক্তি আছে বুথে নেমে দেখান, চ্যালেঞ্জ
আবদুর রহিম বলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। তৃণমূলকর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চুপ করে বসে আছে। কিন্তু তারা কেউ হাতে বালা পরে বসে নেই। প্রতিটি বুথে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ। কত শক্তি আছে বুথে নেমে দেখান। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের বাঁশ বা লাঠির বদলা নেবে সাধারণ মানুষ।
কথার মাধ্যমেই বোঝা যায়, ওনার সংস্কৃতি ঠিক কী রকম
তৃণমূল জেলা সভাপতির মুখে এহেন কটূ কথা শুনে বিভিন্ন মহল থেকে তার কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিরোধীদের দাবি, এভাবে অশান্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই কথার মাধ্যমেই বোঝা যায়, ওনার সংস্কৃতি ঠিক কী রকম। যেমন নিজের দলের সংস্কৃতি তেমনই কথা বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। একইভাষায় সমালোচনা করেছেন সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতারাও।
কু-কথার জাল থেকে মুক্তি নেই বাংলার রাজনীতির
বর্তমানে বাংলার রাজনীতিতে এমন কু-কথা লেগেই রয়েছে। তৃণমূল হোক বা বিজেপি, সুযোগ পেলেই রাজনৈতিক ভাষ্যে হিংসা ও বিদ্বেষমূলক প্ররোচনা দিচ্ছেন। এই কু-কথার রাজনীতির জটাজাল ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্রই। এ থেকে মুক্তি নেই বাংলার রাজনীতির। ফলে এক জন করে নতুন নতুন নেতা-নেত্রীর নাম বেড়েই চলেছে।
'বদলা চাইনি বলে CPM-র কেউ গ্রেফতার হয়নি', জাগো বাংলার শারদ সংখ্যার উদ্বোধনে হুঁশিয়ারি মমতার