মুসলিম কন্যে পুজিতা দেবী দুর্গার কুমারী রূপে! সম্প্রীতির অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন হল বাংলায়
সম্প্রীতির অভূতপূর্ব মেলবন্ধন এই দুর্গাপুজোয়। কুমারী পুজোকে কেন্দ্র করে কলকাতার অদূরেই বাগুইআটির পুজো মণ্ডপ ধারক ও বাহক হয়ে রইল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।
সম্প্রীতির অভূতপূর্ব মেলবন্ধন এই দুর্গাপুজোয়। কুমারী পুজোকে কেন্দ্র করে কলকাতার অদূরেই বাগুইআটির পুজো মণ্ডপ ধারক ও বাহক হয়ে রইল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির। বাগুইআটির দত্তবাড়িতে মহাষ্টমীর পুজোয় কুমারী রূপে পূজিতা হলেন মুসলিম পরিবারের বালিকা ফতিমা। সমাজের বুকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাগুইআটির বাসিন্দা তমাল দত্ত।
অ-হিন্দু বালিকা হলেন কুমারী
২০১৩ সাল থেকে নিজের বাড়িতেই পুজো করে আসছেন তিনি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তমালবাবুর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা বাড়ির পুজোয় অ-হিন্দু কোনও বালিকাকে দেবী দুর্গা হিসেবে পুজো করা। সেই ইচ্ছা পূর্ণ হল এতদিনে। আড়ম্বর না থাকলেও বাগুইআটির এই পুজো নিজগুণেই হল স্বতন্ত্র।
চার বছরের ছোট্ট ফতিমা পূজিতা
তমালবাবুর এই বাসনা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন কামারহাটির বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিম। মহম্মদ ইব্রাহিমের ভাগ্নি চার বছরের ছোট্ট ফতিমা পূজিতা হলেন বাগুইআটির দত্তবাড়ির কুমারী হিসেবে। আগ্রার ফতেপুর সিক্রিতে মুদু দোকানে কাজ করেন ফতিমার বাবা মহম্মদ তাহির। মা-বাবার সঙ্গে ফতিমাও থাকে সেখানে।
সুদূর আগ্রা থেকে এসে কুমারী ফতিমা
তমালবাবুর ইচ্ছা ইব্রাহিমের মুখে শুনে সুদূর আগ্রা থেকে মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় ছুটে আসেন তাহির ও তাঁর স্ত্রী বুশরা। অষ্টমীর সকালে বাগুইআটির দত্তবাড়িতে ধূমধাম করে পূজিতা হন কুমারী ফতিমা। এই ঘটনায় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তমাল ও ইব্রাহিম।
[ এলিয়ানের সন্ধান পেয়েছে নাসা! শনির উপগ্রহে প্রাণের সন্ধানে পাঠানো হচ্ছে স্পেসক্র্যাফট]