মার্চেন্ট নেভির কর্মী খুন ব্যারাকপুরের মেসে! নেপথ্যে ডলার হাতানো নাকি ত্রিকোণ প্রেম
এক বছর আগে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মার্চেন্ট নেভির ওই কর্মী। কলকাতায় ফিরে তিনি বাড়ি না গিয়ে কেন উঠলেন মেসে
এক বছর বিদেশ সফরের পর আর বাড়ি ফেরা হল না মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত সুব্রত দাসের। বাড়িতে না ফিরে তিনি উঠেছিলেন ব্যারাকপুরের একটি মেসে। ওই মেসেরই বাথরুম থেকে উদ্ধার হল তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ। বছর ৩২-এর ওই নৌ-কর্মীর মাথায় পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, তাঁর সঙ্গে থাকা মার্কিন ডলার খোয়া গিয়েছে। তা থেকেই সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে মার্কিন ডলার হাতানোর জন্যই এই খুন, নাকি এই খুনের পিছনে রয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন?
এই ঘটনায় অভিযোগের তির সুব্রতবাবুর বন্ধুদের দিকে। মার্কিন ডলার হাতানো হোক বা ত্রিকোণ প্রেম, এই খুনের পিছনে বন্ধুদের হাত রয়েছে বলেছেই তদন্তকারীদের ধারণা। কেননা, বাড়ি না গিয়ে মেসে ওঠা, মার্কিন ডলার উধাও হয়ে যাওয়া এবং শেষমেশ খুনের পিছনে প্রত্যক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
এক বছর আগে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মার্চেন্ট নেভির ওই কর্মী। তাঁর আদি বাড়ি নদিয়ার চাকদহে। সেখানেই রয়েছে তাঁর স্ত্রী ও এক বছরের শিশু সন্তান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগেই তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেল পরিবার। তাঁর বন্ধুরাই জানান তিনি বৃহস্পতিবার ফিরেছিলেন। কেন তিনি বাড়ি না ফিরে ব্যারাকপুরে ভাড়া বাড়িতে গেলেন? কেয়ারটেকার, আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এক মহিলা সুব্রতবাবুকে ফোন করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কার কাছ থেকে ফোন এসেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই খুনের সঙ্গে ওই ফোনের কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।