চার বউয়ে তৃপ্ত নয়, আরও তিন কন্যেকে বিয়ের কথা, শেষে যে হাল হল ‘পাত্রে’র
কখনও অভিজিৎ মণ্ডল, কখনও মুজিবর রহমান। কখনও হিন্দু, কখনও মুসলমান। এইভাবেই নাম, পদবি, ধর্ম ভাঁড়িয়ে চার-চারটি বিয়ে করা হয়ে গিয়েছিল ইতিমধ্যেই।
কখনও অভিজিৎ মণ্ডল, কখনও মুজিবর রহমান। কখনও হিন্দু, কখনও মুসলমান। এইভাবেই নাম, পদবি, ধর্ম ভাঁড়িয়ে চার-চারটি বিয়ে করা হয়ে গিয়েছিল ইতিমধ্যেই। এখানেই শেষ নয়, গুণধর এই বিয়ে পাগলা যুবক এখনও কথা চালাচ্ছিল তিন তরুণীর সঙ্গে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েন গেল 'বর'।
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে গ্রেফতার করা হল গুণধর ওই যুবককে। ধৃত যুবকের কোন নামটা আসল, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ভোটার কার্ডে নাম অভিজিৎ মণ্ডল, আধার কার্ডে নাম মুজিবর রহমান। কার্ড দুটি উদ্ধারের পর চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারী অফিসারের।
গত ৮ অগাস্ট সরশুনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগে বলা হয়, চারটি বউ থাকা সত্ত্বেও ফের বিয়ে করতে চলেছে এক যুবক। প্রথম শ্রেণির একটা বাংলা দৈনিকে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে সে। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশের চোখ ছানাবড়া। পুলিশ জানতে পারে এক হিন্দু তরুণীকে ও তিন মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছে সে।
[আরও পড়ুন:অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ, বিভীষিকার রাত কাটিয়ে শেষে আইনের দ্বারস্থ নিগৃহীতা]
অভিজিতের বায়না মেটাতে গিয়ে চার তরুণীর নাজেহাল অবস্থায। প্রতিনিয়তই টাকা চাইত সে। তবু এসব নিয়েও ঠিকঠাক চলছিল। কাল হল বিজ্ঞাপন দিয়ে। এক স্ত্রীর চোখে পড়ে গেল সেই বিজ্ঞাপন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেই সে পালিয়ে যায়। চার মাস পর দিঘার একটি হোটেল থেকে আটক করা হয় তাকে।
[আরও পড়ুন: বিমানে চড়ে গিয়ে চুরি! এই চোরের কাণ্ড শুনে চোখ কপালে পুলিশেরও ]
শুধু বিয়েই নয়, অভিযুক্ত যুবক চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণাও করেছে। নিজেকে সিআরপিএফের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেকার যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে টাকা তোলে। দু-লাখেরও বেশি টাকা প্রতারণা করেছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী! সন্দেহের বশে স্বামীর 'কীর্তি' জানলে আঁতকে উঠবেন]