বাঘ-বন্দি খেলা রায়গঞ্জে, গ্রাম দাপিয়ে বেড়ানো চিতা জখম করল ৯ জনকে
বাঘ-বন্দি খেলায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে। লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে চিতা। সেই বাঘকে বন্দি করতেই হিমশিম অবস্থা।
উত্তর দিনাজপুর, ২ জানুয়ারি : বাঘ-বন্দি খেলায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে। লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে চিতা। সেই বাঘকে বন্দি করতেই হিমশিম অবস্থা। শেষপর্যন্ত বনকর্মীরা নন, সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৎপরতায় এই বাঘ বন্দি হল। ইন্দিরা কলোনির একটি বাড়িতে টিনের চালায় বন্দি করে রাখা হয়েছে বাঘটিকে। তিনঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গ্রামে তাণ্ডব চালাল বাঘটি। চিতার তাণ্ডবে জখম হয়েছেন ন'জন গ্রামবাসী।
কিছুদিন আগে রায়গঞ্জের কুলিক নদীর সেতুন পাশে বাঘের মাথায় উদ্ধার হয়েছিল। তখন থেকেই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল গ্রামবাসীদের মনে। এবার রায়গঞ্জের গ্রমে ঢুকে পড়ল আস্ত একটা চিতা। গ্রামের রাস্তা দাপিয়ে সে ছুটে বেড়াচ্ছিল একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এরই মধ্যে বাঘের সমনে পড়ে অনেকেই জখম হয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘটিকে পাকড়াও করতে এরপর স্থানীয় মানুষই সাহস করে ময়দানে নামে। লাঠি, বল্লাম নিয়ে বাঘটিকে তাড়া করতে শুরু করেন তাঁরা।
খবর দেওয়া হয় বনদফতরেও। তবে বনকর্মীরা গ্রামে না পোঁচনোয় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রামবাসী ও ওই স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কাজ বাঘটিকে বন্দি করার কাজ শুরু কর দেয়। বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে একটি বাড়িতে। তবে কতক্ষণ তাঁকে এভাবে আটকে রাখা যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এলাকায় বহু মানুষের ভিড় জমে যায় বাঘ দেখতে।
কিন্তু কীভাবে বাঘটি এল? কোথা থেকেই বা এল? তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। বনকর্মীরা মনে করছেন, বিহার থেকে এই বাঘটি ঢুকে পড়তে পারে। কিংবা কোনও পাচারকারীর হাত থেকেও পালিয়ে আসতে পারে। এদিকে মালদহের ওলদাবাড়িতেও চিতাবাঘা আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্রামাবাসীদের।