পণের বলি! পিটিয়ে আধমরা, তারপর মুখে বিষ ঢেলে নৃশংস খুন গৃহবধূ
মোবাইল দোকান বন্ধ করে দিয়ে পোলট্রি ফার্ম খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মৃতার স্বামী। সেই কারণেই বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করে চলত অত্যাচার।
ফের পণের বলি হলেন এক গৃহবধূ। প্রথমে পিটিয়ে আধমরা করে তারপর মুখে বিষ ঢেলে নৃশংসভাবে খুন করা হল ওই গৃহবধূকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাপুলিরচকে। অভিযোগের তির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শ্রাবন্তী সর্দার। বয়স ২৬। মৃত বধূর দেহ বাড়িতে ফেলেই পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার রাতে শ্রাবন্তীর নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায় বাড়ির বারান্দায়। প্রতিবেশীরাই তাঁর দেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠায় দেহ। প্রতিবেশী ও মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্রাবন্তীকে পেটানোর পর মুখে বিষ ঢেলে খুন করা হয়েছে। জয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বাপের বাড়ির তরফে।
বছর
পাঁচেক
আগে
শ্রাবন্তীর
বিয়ে
হয়
জগদীশ
সর্দারের
সঙ্গে।
এলাকায়
একটি
মোবাইলের
দোকান
ছিল
জগদীশের।
কিন্তু
সেই
ব্যবসা
ধরে
রাখতে
পারেনি
সে।
বাপের
বাড়ি
থেকে
টাকা
আনার
কথা
বলে
বিয়ের
বছর
দুয়েক
পর
থেকেই
শারীরিক
ও
মানসিক
নির্যাতন
শুরু
হয়
শ্রাবান্তীর
উপর।
প্রায়ই
জগদীশ
তাঁকে
মারধর
করত।
মাস
দেড়েক
আগে
একবার
স্বামীর
হাতে
মার
খেয়ে
হাসপাতালে
ভর্তি
হয়েছিলেন
শ্রাবন্তী।
অভিযোগ,
স্ত্রীর সমস্ত গয়না বিক্রি করে দিয়েছিল বেকার জগদীশ। তারপর শ্রাবন্তীকে মেরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। জানিয়ে দেয় টাকা আনতে পারলে তবেই যেন ফেরে। এরপর সুস্থ হয়ে শ্বশুরবাড়ি আসে সে। কিন্তু এরপরই যে তাঁকে পৃথিবী ছেড়়ে চলে যেতে হবে, ভুলেও ভাবেননি শ্রাবন্তী। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে এবার একেবারে শেষ হয়ে যেতে হল তাঁকে।
পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, মোবাইল দোকান বন্ধ করে দিয়ে জগদীশ পোলট্রি ফার্ম খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কারণেই বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করত সে। শ্রাবন্তীর বাপের বাড়ির তরফে ২০ হাজার টাকা দেওয়াও হয়েছিল। তবু বন্ধ হয়নি অত্যাচার, নিপীড়ন। শেষপর্যন্ত মৃত্যুতেই শেষ হল সব।