ভালোবেসে গৃহশিক্ষককে বিয়ে ছাত্রীর, তিন বছরেই শেষ প্রেম! তারপরের ঘটনা নিদারুণ
টিউশন পড়ার সময়ই গৃহশিক্ষকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন। তারপর বিয়ে। বেশ চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বরূপ প্রকাশ হতে থাকে প্রেমিক গৃহশিক্ষকের।
টিউশন পড়ার সময়ই গৃহশিক্ষকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন। তারপর বিয়ে। বেশ চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বরূপ প্রকাশ হতে থাকে প্রেমিক গৃহশিক্ষকের। শুরু হয় একটার পর একটা দাবি। আর তার নিদারুণ পরিণতিতে মৃত্যু। মাত্র ২০ বছরেই শেষ জীবন। শ্বাসরোধ করে স্ত্রী খুনের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মণীশা ঘোড়ুই। পূজালি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কৌস্তভের কাছে টিউশন পড়তেন তিনি। তখনই জড়িয়ে পড়েছিলেন সম্পর্কে। কিছুদিন পরেই বিয়ের বন্ধনে জড়িয়ে পড়েন মণীশা ও কৌস্তভ। মাত্র তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাদের। প্রথম কিছুদিন সুখে কাটার পরই শুরুর হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।
মণীশাকে বাপের বাড়ি থেকে কখনও টাকা, কখনও কোনও জিনিসপত্র আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করে কৌস্তভ। আজ খাট তো কাল আলমারি, কখনও টাকার দাবি করে সে। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে না পারলে অত্যাচাল চলত। দিন দিন বাড়ছিল অত্যাচারের মাত্রা।
এরই মধ্যে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মণীশা। তারপর বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। কয়েকদিন আগেই আলমারির দেওয়ার জন্য চাপ দেয় কৌস্তভ। মণীশার মা বলে, আমার দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। দিন কয়েক আগেই মণীশার বাবাও মারা গিয়েছেন। এর মধ্যেই আবার মেয়ের মৃত্যু সংবাদ। কৌস্তভের পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মণীশা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।