করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শ! মন্ত্রী, সাংসদ-সহ রাজ্যের একদল রাজনীতিক হোম কোয়ারেন্টাইনে
করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শ! মন্ত্রী, সাংসদ-সহ রাজ্যের একদল রাজনীতিক হোম কোয়ারেন্টাইনে
পশ্চিমবঙ্গের একদল বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এইসব নেতানেত্রীরা প্রথমে সন্দেহভাজন করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসেন। পরে ওই ব্যক্তির রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে বিভিন্নদলের নেতানেত্রীরা
এই মুহুর্তে যাঁদের হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর, রাজ্যের মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসগা, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং দার্জিলিং জেলা সিপিএম-এর বেশ কয়েকজন নেতা।
মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোয়ারেন্টাইনে
বলা যেতে পারে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বই কোয়ারেন্টাইনে। মালদহ জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি, বর্তমানে কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মুর সঙ্গে ১৫০ পঞ্চায়েত সদস্যের বৈঠক হয়েছিল। রবিবার মুর্মু এবং তাঁর স্বামীর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শনিবার যে বৈঠকে মুর্মু উপস্থিত ছিলেন, সেই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মৌসম নুর। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন, বর্তমানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি দৌর মণ্ডল এবং বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনও।
দক্ষিণ দিনাজপুরে একাধিক নেতা কোয়ারেন্টাইনে
২৫ জুন দক্ষিণ দিনাজপুরের যুব তৃণমূল নেতা অনিমেষ সরকারের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একদিন আগেই তিনি সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসা ও বিধায়ক গৌতম দাসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
কোয়ারেন্টাইনে সায়ন্তন বসু
দলের এক কর্মীর রিপোর্ট করোনা পজিটিভের কারণে সায়ন্তন বসু নিজেকের সল্টলেকের বাড়িতে আলাদা করে রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কয়েকদিন আগে বেরিয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি বাড়ির বাইরে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছেন। নিজের মা ও স্ত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও, তাঁর রিপোর্ট এখনও আসেননি।
বন্ধ সিপিএম-এর দার্জিলি অফিস
শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সিপিএম-এর দার্জিলিং জেলা অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিপিএম নেতারা পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইন অনুসরণ করছেন।
ফের ত্রাণ দুর্নীতি ও করোনা নিয়ে অভিযোগ! রাজ্যপালের কাঠগড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়