কোন পরিচয়ে চিকিৎসা, পুলিশের জালে আরও এক
রাজ্যে আরও এক ভুয়ো চিকিৎসক। নদিয়ার চাপড়ায় ধৃত যা জানাল তা জানলে আতঙ্কিত হবেন।
এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা করছিলেন,অদ্বৈত মণ্ডল। শুক্রবার ধরা পড়ার পর পুলিশি জেরায় দাবি, এমবিবিএস নন, তবে তিনি সাধারণ আরএমপি। অভিযুক্তের সেই দাবিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরের বাসিন্দা অদ্বৈত মণ্ডল নদিয়ার চাপড়ায় গিয়ে চেম্বার খোলেন। বসবাসও শুরু করেন চাপড়াতেই। পাঁচ বছরেই এলাকায় ভালই পসার জমিয়ে ফেলেন তিনি। চাপড়ার হাসপাতাল পাড়ার চেম্বারে তিনি স্নায়ুরোগের চিকিৎসা করতেন।
কিছুদিন ধরেই রাজ্যে ভুয়ো চিকিৎসকের পর্দা ফাঁস হচ্ছে একের পর এক। গ্রামের হাসপাতাল থেকে শহরের নামি হাসপাতালেও এই জাল ছড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নদিয়ারই হাঁসখালি থেকে দিনকয়েক আগে ধরা পড়েন ভুয়ো চিকিৎসক। এবার নদি্য়ারই চাপড়া থেকে গ্রেফতার আরও এক।
শুক্রবার ভুল চিকিৎসার অভিযোগে এক রোগীর সঙ্গে বচসা হয় অদ্বৈত মণ্ডলের। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশ জানতে পারে বার্ণপুর থেকে চাপড়ায় গিয়ে চেম্বার খুলেছেন অদ্বৈত। সন্দেহ হতেই শুরু হয় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর কাছে এমবিবিএস ডিগ্রির প্রমাণ চাইলে, তিনি তা্ দেখাতে পারেননি।
এরপর দীর্ঘ পুলিশ জেরার মুখে অদ্বৈত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি এমবিবিএস না হলেও আরএমপি পাস। তবে কেন এতদিন নিজেকে এমবিবিএস বলে পরিচয় দিয়েছেন, তার কোনও উত্তর মেলেনি।