চিতায় তোলার পরই নড়ে উঠল মড়া! ‘মিরাকেল’ ঘটতে পারে, কিন্তু তারপর যা হল...
চিতায় তোলার পরই আজব কাণ্ড! চাক্ষুস করল শ্মশান ভর্তি লোক। চিতায় তোলার পরই নড়ে উঠল মড়া। এই তো প্রাণ আছে, তবে যে ডাক্তারবাবু বললেন আপনাদের রোগী মারা গিয়েছে!
চিতায় তোলার পরই আজব কাণ্ড! চাক্ষুস করল শ্মশান ভর্তি লোক। চিতায় তোলার পরই নড়ে উঠল মড়া। এই তো প্রাণ আছে, তবে যে ডাক্তারবাবু বললেন আপনাদের রোগী মারা গিয়েছে! চিতা থেকে দেহ নিয়ে সটান হাসপাতালে ছুটল পরিবারের লোকজন। শ্মশানের আজব কাণ্ড-কারখানার পর তুমুল বিক্ষোভে হুলুস্থুল বাধল হাসপাতালে।
পরিজনেরা এমনও ভেবেছিলেন- মিরাকেল ঘটতে পারে তাহলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রোগীর প্রাণ ফিরল না। শনিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে আলিপুরদুয়ারে। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ওঠে চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর বৃদ্ধার দেহ পরীক্ষা করে ফের মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।
তারপর আবার সৎকারের জন্য বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শোভাগঞ্জ শ্মশানঘাটে। আলিপুরদুয়ার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লির বাসিন্দা শ্যামলী গোস্বামী শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরপরই হাসপাতালে থেকে পদ্ধতি মেনে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় শ্যামলীদেবীর দেহ। সেখানে গিয়ে চিতায় তোলার পরই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ চিতার উপর শোয়ানো অবস্থায় নড়ে ওঠে দেহ। তড়িঘড়ি বৃদ্ধাকে নিয়ে ফের হাসপাতালে যায় পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীর উপর চড়াও হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
[আরও পডুন:#MeToo:লজ্জায় আত্মহননের পথে বলি-সেলেব! যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য]
আলিপুরদুয়ার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, চিকিৎকের উপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। চোখের ভুল বা অন্য অনেক কারণে মৃতদেহ নড়ে উঠতে পারে। পরে সিটি স্ক্যান করেও দেখা গিয়েছে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘক্ষণ আগে। অথচ যে কাণ্ড ঘটানো হল, এরপর চিকিৎসকদের পক্ষে পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন:অসুস্থতা-দুর্ভাগ্য কাটাতে গণেশ পুজোয় পালন করুন এই রীতি,কয়েকটি টিপস ]