সবেমাত্র মাথাটা ঠেকিয়েছেন বালিশে, উপরে চোখে পড়তেই হাড়হিম হয়ে যাবার জোগাড়
ব্যস্ত দিনের খাটাখাটুনির পর ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলে দিয়েছিলেন নৃপেনবাবু। কিন্তু বালিশে মাথা ঠেকানোর পর উপরের দিকে নজর পড়তেই আঁতকে উঠলেন তিনি।
ব্যস্ত দিনের খাটাখাটুনির পর ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলে দিয়েছিলেন নৃপেনবাবু। কিন্তু বালিশে মাথা ঠেকানোর পর উপরের দিকে নজর পড়তেই আঁতকে উঠলেন তিনি। এক লাফে বিছানা থেকে নেমে পড়লেন নিচে। কী হল? পড়়িমড়ি করে ছুটে এসেছিলেন বাড়ির অন্যান্যরা। সবার তখন চক্ষু ছানাবড়া। সিলিং থেকে ঝুলছে বিষধর গোখরো!
জলপাইগুড়ি শহরের বেলাকোবা কলেজপাড়ার বাসিন্দা নৃপেন রায়। রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে সবেমাত্র শুতে গিয়েছিলেন ঘরে। ঘরের আলো নিভিয়ে মাথাটা সবে বালিশে ঠেকিয়েছেন, অমনি সিলিংয়ে কী যেন চিক চিক করে উঠল। সন্দেহ হতেই বিছানা ছেড়ে লাফ। তারপর আলো জ্বেলে দেখেন, তাঁর সন্দেহই ঠিক। সিলিং থেকে ঝুলছে গোখরো সাপ।
এরপরই নৃপেনবাবু খবর দেন বেলাকোবা ফরেস্ট রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীদের নিয়ে ছুটে আসেন নৃপেনবাবুর বাড়িতে। বিশালাকার গোখরোকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে বনকর্মীরা মিনিট তিরিশের চেষ্টা সাপটিকে উদ্ধার করেন।
ফরেস্ট অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, এই সাপটি স্পেক্টাক্যালড কোবরা প্রজাতির। সাপটিকে উদ্ধার করে বন দফতের রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণের জন্য। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। সাপটি কোনওভাবে জঙ্গল থেকে শহরে চলে এসেছিল। ঠিক সময়ে নজর পড়ে যাওয়ায় এদিন কোনও বিপদ ঘটেনি।