সাইক্লোন আমফানের ক্ষতিপূরণ দাবি! মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
আমফানের ক্ষতিপূরণ চেয়ে এবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক ব্লকেঊ বহু মানুষ এখনও আমফানের ক্ষতিপূরণ পাননি, তাই তাদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছেন খয়রুল শেখ নামে কাকদ্বীপের এক বাসিন্দা। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চে।

এদিন মামলা দায়েরের পর মামলাকারীর আইনজীবী শমিক বাগচি জানান, আমফানের জেরে সবচেয়ে বেশ ক্ষতি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিকে নামখানা, কাকদ্বীপ ও সংলগ্ন এলাকা। অন্যদিকে সন্দেশখালি হিঙ্গলগঞ্জ লাগোয়া এলাকা। বহু মানুষ যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের সদস্য একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
কিন্তু তার কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য। কিন্তু সেখানকার বহু বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাদের বাড়ি তৈরি আর্থিক সামর্থ্য নেই তার সত্বেও তারা ক্ষতিপূরণ পাননি। অভিযোগ, আবেদন করলেও পঞ্চায়েত অফিস থেকে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এই সমস্ত দুস্থ গরিব মানুষ যাদের সত্যিই ক্ষতি হয়েছে, অথচ আর্থিক সামর্থ্য নেই তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি নিয়ে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন মামলাকারী।
আইনজীবী আরো জানান, মামলায় ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি করার আবেদন জানানো হয়েছে। যে কমিটি কারা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন আর কারা পাচ্ছেন না তা রিপোর্ট আকারে জমা দেবে। মামলাকারীর আইনজীবী শমিক বাগচি জানান, কেন ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছেনা সে বিষয় RTI করা হয়। একজন জেলাশাসক বাদ দিয়ে কেউ আজ পর্যন্ত কোন উত্তর দেননি।
প্রসঙ্গত, আমফানের দুর্নীতি নিয়ে একাধিকবার একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি হলে ছেড়ে কথা বলবে না রাজ্য সরকার। বিরোধীদের নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমফানের ত্রাণ নিয়ে স্বজনপোষণ হলে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। এই মর্মে বিডিও ও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ এপর্যন্ত বহু মানুষ এখনো পর্যন্ত আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি।
