৯ কেজি ওজনের বিশ্বের সবচেয়ে বড় রসগোল্লা বানাল বাংলার এই জেলা
নদিয়া বানিয়েছে ৯ কেজির রসগোল্লা যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলে দাবি করা হচ্ছে। এতবড় রসগোল্লা সারা বিশ্বে আর কোথাও বানানো হয়েছে বলে কেউ দাবি করেনি কোনওদিন।
কয়েকদিন আগেই ওড়িশার সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে বাংলার রসগোল্লা জিআই বা জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন পেয়েছে। মিষ্টিপ্রেমী বাঙালিদের কাছে এ এক বড় পাওনা। এই স্বীকৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে নদিয়ার দুটি সেলফ হেল্প গ্রুপ অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
এই দুই সংস্থা মিলে বানিয়েছে ৯ কেজির রসগোল্লা যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলে দাবি করা হচ্ছে। এতবড় রসগোল্লা সারা বিশ্বে আর কোথাও বানানো হয়েছে বলে কেউ দাবি করেনি কোনওদিন। ফলে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রসগোল্লা, তাতে সন্দেহ নেই।
জানা গিয়েছে, এর জন্য প্রয়োজন পড়েছে ১৫০ কেজি চিনি, সাড়ে পাঁচ কেজি ছানা, চারশো গ্রাম ময়দা। ছানা ছাড়া এই রসগোল্লার ওজন হবে ৬ কেজি। তারপর তা রসে ভিজে আরও তিন কেজি বেড়ে গিয়েছে।
নদিয়ার এই সেলফ হেল্প গ্রুপ জানিয়েছে, এই রসগোল্লা বানিয়ে তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছে মিষ্টি নির্মাতা হারাধন মন্ডলকে। যাঁকে তাঁরা বলছেন রসগোল্লার জনক। অন্তত বাংলায় তাঁর হাত ধরেই রসগোল্লার বিবর্তন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ১৮৬৮ সালে নবীন চন্দ্র দাসের হাত ধরে বাংলায় রসগোল্লার পথ চলা শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।
তবে নদিয়ার ফুলিয়ার মানুষ তা মানতে রাজি নন। রসগোল্লা বানানোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, রসগোল্লার আবিষ্কার ফুলিয়াতেই হয়েছে। পরে তিনি কলকাতা গিয়ে নবীন দাসের সংস্পর্শে আসেন। পরে নবীন দাস তা জনপ্রিয় করে তোলেন।
তর্ক যাই থাক, ঘটনা হল এতবড় রসগোল্লা বানানোর পর নদিয়ায় অন্তত ৪০০ জনকে তা খাওয়ানো হয়েছে। যারা রসগোল্লা বানানো দেখতে এসেছিলেন তাদেরই মূলত এই রসগোল্লার টুকরো মুখে পুরে দেওয়া হয়েছে। আর এভাবেই রসগোল্লার স্বীকৃতি উদযাপিত হয়েছে নদিয়ায়।