বাংলায় বেকার ৭১ লক্ষ, ২০১২-১৩ অর্থববর্ষে চাকরি ১৩১৩ জনের
এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা অন্তত ৭১ লক্ষ। এখান থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের যোগ্য প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়। তার পর আসে চাকরির ডাক। শ্রম দফতর কর্তৃক প্রকাশিত 'লেবার ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল' শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, যে পরিমাণ নাম চাকরির জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতরে পাঠানো হয়, তার সিকিভাগও চাকরি পায় না। যেমন ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ৪১,৭১৯ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। চাকরি পেয়েছেন মাত্র ১৩১৩ জন! তার আগে দুই অর্থবর্ষে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ মারফত চাকরি পেয়েছিলেন যথাক্রমে ১৭৯৫ এবং ২৫৩৮ জন। বোঝা যাচ্ছে, চাকরি পাওয়ার হারও কমছে।
প্রসঙ্গত, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর চালু করেছিল এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক। মূলত এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে। দেখা যাচ্ছে, এই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক মারফত শ'পাঁচেক ছেলেমেয়ে এখনও পর্যন্ত চাকরি পেয়েছেন। অথচ এক্ষেত্রেও নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা কয়েক লক্ষ। বলা ভালো, এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক মারফত যারা বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি পেয়েছেন, তার অধিকাংশই পাকা চাকরি নয়, চুক্তিভিত্তিক।
যে ৭১ লক্ষ প্রার্থী কর্মসংস্থান কেন্দ্র বা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জগুলিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছেন! ১৫৩ জন এমবিবিএস অর্থাৎ ডাক্তারি পাশ করা ছেলে নাম লিখিয়েছেন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জগুলিতে। বি টেক, এম টেক ডিগ্রি রয়েছে এমন প্রার্থীদের সংখ্যা অন্তত দশ হাজার।
যে অনুপাতে চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, সেই অনুপাতে সরকারি দফতরগুলিতে চাকরি নেই। ফলে বছরের পর বছর শুধু দীর্ঘশ্বাস আর অপেক্ষা। দেশের অন্যান্য রাজ্য যেমন গুজরাত, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু হল শিল্পনিবিড়। এখানে বিভিন্ন ধরনের শিল্পে বিনিয়োগ থাকায় কাজের সুযোগ অনেক বেশি। তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে। ফলে রাজ্যের বেকাররা চাতক পাখি হয়েই বসে আছেন।