For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

৭০ বছর বয়সে বসন্ত পঞ্চমীতে হাতেখড়ি বৃদ্ধার

  • |
Google Oneindia Bengali News

সত্তর বছর বয়সে বসন্ত পঞ্চমীতে হাতেখড়ি হল বাসন্তী মন্ডলের। আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি থাকেন মেদিনীপুর শহরে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, ঝরনাডাঙায়। লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন বাসন্তী মন্ডল। ঘরে অভাবের কারণে ছোট বেলাতে অক্ষরজ্ঞান হয়নি তার। এখন মেদিনীপুরের একটি সংস্থার উদ্যোগে তার অক্ষরজ্ঞান হতে চলেছে।

৭০ বছর বয়সে বসন্ত পঞ্চমীতে হাতেখড়ি বৃদ্ধার

মিডনাপুর ডট কম নামের এই সংস্থার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের বিধাননগর সরস্বতী পুজোর মন্ডপে হাতে খড়ি হল বাসন্তী মন্ডলের। শুধু সরস্বতী নয়, তার হাতে খড়ি হল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছবির সামনেও।

অন্য দিনের মতোই এদিনও কয়েকটি বাড়িতে কাজ সারার পরে ক্রিম কালারের লালপাড় শাড়ি পরে হাতে শ্লেট পেনসিল নিয়ে শ্রীপঞ্চমীর দিন সরস্বতী ও বিদ্যাসাগরের সামনে হাতে খড়ি দিতে আসেন তিনি। বাসন্তী মন্ডলকে এলাকার অনেকেই দেখেছেন বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে। এদিন তিনি যখন নতুন শাড়ি পরে হাতে শ্লেট পেনসিল নিয়ে সরস্বতী পুজোর মন্ডপের দিকে এগিয়ে আসছিলেন তখন অবাক হয়ে যান সবাই।

যে সংস্থার উদ্যোগে এদিন হাতে খড়ি হল বাসন্তী মন্ডলের, সেই সংগঠনের পক্ষে অরিন্দম ভৌমিক বলেন, এই জেলাতেই জন্ম গ্রহণ করেন বিদ্যাসাগর। এই বছর তার জন্মের দুশ বছর। অথচ আমাদের জেলায় অনেকেরই এখনওপর্যন্ত কোন অক্ষর জ্ঞান নেই। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এদের অক্ষর জ্ঞান হয়। ঝরনাডাঙা এলাকা দিয়ে আমাদের সেই কাজ শুরু করা হল।

ছোট থেকেই কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর সহ অন্যান্য অনেক জায়গায় বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেছেন বাসন্তী। তারা পাঁচ বোন ও এক ভাই। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার জন্য ছোট বেলাতে পড়াশোনা হয়নি। শুরু করে দেন পরিচারিকার কাজ। বছর কয়েক আগে তার এক বোন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তিনি চলে আসেন মেদিনীপুরে। থাকতে শুরু করেন ঝরনাডাঙাতে। এখন মেদিনীপুরের কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছেন। তিনি কাজ করেন অরিন্দমের বাড়িতেও। অরিন্দম জানতে পারেন যে বাসন্তীর কোন রকমের অক্ষর জ্ঞান নেই। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেও টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার সময়ে টিপ ছাপ সম্বল। জানতে পারেন যে বাসন্তী র মতোই আরও অনেকেই আছে ঝরনাডাঙাতে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিন হাতে খড়ি হল বাসন্তী মন্ডলের। তিনি জানান যে খুব খুশি। " এত দিন টিপ ছাপ দিয়ে টাকা তুলেছি। এরা সবাই খুব জোর করল যে আমাকে লিখতে হবে, পড়তে শিখতে হবে। যখন আমি সময় পাব তখনই লিখব, পড়ব, শিখব" বলেন বাসন্তী।
যখন কথা গুলো বলেন তখন তার মুখে, ঠোঁটে সলাজ হাসির ঝিলিক।

English summary
70 year old woman surprised everyone on Saraswati Puja
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X