'ভয়ঙ্কর' অবস্থা কলকাতার ৭টি ব্রিজের, কোথায় লুকিয়ে বিপদ! কী বলছে পূর্ত দফতর
পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে কলকাতার সাতটি ব্রিজকে 'ভয়ঙ্কর' বলে রিপোর্ট তৈরি করেছে।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে ফের একবার গোটা রাজ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে নানা নির্দেশ দিয়েছেন। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের কোথায় কোথায় ব্রিজের অবস্থা দুর্বল তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেখে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে কলকাতার সাতটি ব্রিজকে 'ভয়ঙ্কর' বলে রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার অর্থ, যেকোনও সময় এই ব্রিজগুলিতে বিপদ ঘটতে পারে। অবিলম্বে এই ব্রিজগুলি মেরামতের কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোট ২০টি ব্রিজের মধ্যে ৭টিকে বিপদসীমার উপরে রাখা হয়েছে বলে খবর। এগুলি হল - বিজন সেতু, গৌরীবাড়ি অরবিন্দ সেতু, বেলগাছিয়া ব্রিজ, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ব্রিজ, ঢাকুরিয়া ব্রিজ, টালা ব্রিজ ও সাঁতরাগাছি ব্রিজ।
পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা বলছেন, ব্রিজের ভার বহনের ক্ষমতা যাচাই করার পর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাহলে যতটা ক্ষতি ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে তা আর পরের ধাপে পৌঁছবে না।
কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যে বিজন সেতু, গৌরীবাড়ি অরবিন্দ সেতু, বেলগাছিয়া ব্রিজ, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ব্রিজে ভারী পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাকী ব্রিজগুলিতেও সেই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।
এর পাশাপাশি আর একটি বিষয় পূর্ত দফতরের নজরে এসেছে। ভারী গাড়িগুলি রাতে চলছে। অনেক সময় রাস্তায় ট্রাফিকের কারণে ব্রিজের উপরে ভারী গাড়িগুলি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছে। এতে ব্রিজের উপরে আরও চাপ বাড়ছে। যা থেকে যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবিলম্বে ব্রিজগুলি সারাতে কত টাকা খরচ হতে পারে তার বাজেট তৈরি করছে পূর্ত দফতর।
বাকী ২০টি ব্রিজের পর্যবেক্ষণও জারি রয়েছে। সুকান্ত সেতুতে নানা জায়গায় ফাটল ধরেছে। সাঁতরাগাছি ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়। এদিকে শিয়ালদহ ব্রিজকেও কড়া নজরে রাখা হয়েছে। কার গাফিলতি তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।